আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রামে নিহত ছাত্রলীগ নেতার ল্যাপটপ উদ্ধার : গ্রেফতার ১

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৮

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে গণপিটুনীতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেলের লুট হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় খাজা খয়েরউদ্দিন ছোটন নামে এক দোকানীকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাহাড়তলী বাজারের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া ল্যাপটপসহ ওই দোকানীকে গ্রেফতার করে ডবল মুরিং থানা পুলিশ।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যুর ঘটনার আগে দায়েরকৃত চুরির মামলায় পাহাড়তলী বাজারের যুবক মোবারককে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিলে সে ছোটনের নাম প্রকাশ করে।
তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ল্যাপটপসহ ছোটনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া দোকানি ছোটনকে সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


গত ৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে সোহেলের মৃত্যুর পর স্থানীয় ব্যবসায়িরা তাৎক্ষনিকভাবে জানিয়েছে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

 ৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সোহেলের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে গণপিটুনীর ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নিহত সোহেলের পরিবার দাবি করে এলাকার মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

তার ছোট ভাই শিশির বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল কোন ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। তার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। তার সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল।

 তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। আমার ভাই যদি চাঁদাবাজি করতেন, সন্ত্রাসী হতেন তাহলে তার নামে মামলা ও জিডি থাকতো। কিন্তু তার নামে কোনো থানায় মামলা ও জিডি নেই।

এরপর মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১৭৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।

এদের মধ্যে পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কমিশনার সাবের আহমেদ সওদাগর এবং ওই ব্যবসায়ি সমিতির সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।


এ হত্যা মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান, সোহেলের বন্ধু রিদোয়ান ফারুক রাজীব, যুবদল নেতা শওকত খান রাজুসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা দায়েরের আগের দিন পাহাড়তলী বাজার থেকে চুরির মামলা গ্রেফতার হওয়া মোবারক নামে এক যুবককে এই মামলার আসামি দেখিয়ে পুলিশ রিমান্ডে নেন।

 রিমান্ডে মোবারক জানায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের চুরি যাওয়া ল্যাপটপটি পাহাড়তলী বাজারের ছোটন নামে এক দোকানীর কাছে রেখেছে। এ তথ্য পেয়ে পুলিশ শনিবার ছোটনকে ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করে।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ