আজকের শিরোনাম :

শুক্রবার এলেই চকরিয়ার শাহ ওমর (রঃ) মাজারে ঢল নামে পূণ্যার্থীদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৯

ছেয়ে-মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার ঐতিহাসিক হযরত শাহ ওমর আউলিয়া (রঃ) মাজারে এসেছেন মো.ঈসমাইল দম্পতি। ঈসমাইল একজন কৃষক। তারা এসেছেন চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন থেকে। উপলক্ষ্য ছেলের মানত (মনের বাসনা)পূরণ করতে। মহিলারা সবাই মাজারের এক পাশে রান্না-বান্নার কাজ করছেন এর এক পাশে ছুটে বেড়াচ্ছেন ছোট ছোট বাচ্চারা।  আজ শুক্রবার দুপুরে চকরিয়ার কাকারার শাহ ওমরের মাজারে গিয়ে দেখা মিলে এ অবস্থার।

মো.ঈসমাইল বলেন, আমার চার মেয়ে এক ছেলে। ছেলে সবার ছোট। মনে আশা রয়েছে ছেলেটা পড়া-লেখা করে বড় কোন কর্মকর্তা হবে। ছোট ছেলে রায়হানুল ইসলাম গত বছর জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। পরীক্ষার আগে ছেলেকে নিয়ে মাজারে এসেছিলাম। ওইসময় মানত করেছিলাম ছেলে জেএসসি পরীক্ষায় পাশ করলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাজারে এসে রান্না-বান্না করে খাবো। শাহ ওমর আমার ইচ্ছে পূর্ণ করেছেন তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাজারে এসেছি।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শাহ ওমর মাজারে উত্তর পাশে খোলা মাঠে ও পুকুর পাড়ে বসে কয়েকশত মানুষ রান্না-বান্না করছেন। কেউ রান্না শেষ করে খাওয়া শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। এরা সবাই এসেছেন একেকটা উপলক্ষ্য নিয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম এসেছেন জুমার নামাজ পড়তে। এসময় তার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রতিদিন শাহ ওমরের মাজারের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আসেন। বিশেষ করে শুক্রবারদিন বেশি। মাজারে এসে শাহ ওমরের দরবারে বিভিন্নজন বিভিন্ন কারণে মানত করেন। তাদের বিশ্বাস শাহ ওমরের দোয়ায় তাদের সেসব আশা পূরণ হয়। এজন্য কেউ কেউ গরু, ছাগল-মুরগী ইত্যাদি মাজারে এসে আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে একত্রে বসে খাবার মানত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাকারা ইউনিয়নে অবস্থিত শাহ ওমরের মাজার চকরিয়ার একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। চকরিয়া তথা কক্সবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পবিত্রতম মাজার হিসেবে শাহ ওমরের(রঃ) মাজার পুণ্যার্থী ভক্তদের কাছে অনন্য মর্যাদার। প্রায় ৬০ একর এলাকা জুড়ে এ মাজার। এখানে চারটি বড় বড় পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরে রয়েছে বড়াকৃতির গজাল মাছ। প্রতিদিন বহু পুণ্যার্থী শাহ ওমরের মাজার দর্শন করেন। বিশেষ করে শুক্রবারে পুণ্যার্থীর আগমন বেশি ঘটে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ