আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কার্যক্রমের আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১১

হাজার হাজার টাকা খরছ করেও যেখানে মানুষের কপালে জোটেনি বিদ্যুতের লাইন সেখানে ঘরে বসে আবেদনের সাথে সাথেই পাচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইন। এ যেন সত্যিই স্বপ্ন। যা বাস্তবে রুপ দিয়েছে ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির সোনাগাজী জোনাল অফিসের মাধ্যমে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদ্যেগে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে ভ্যানে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের মিটার।

১০/১২ বছর আগেও বিদ্যুৎ পাওয়া ছিলো মানুষের জন্য স্বপ্নের  ব্যাপার। দিন রাত ২৪ ঘন্টায় যে এলাকার মানুষের ভাগ্যে বিদ্যুৎ জুটতো মাত্র ৬/৭ ঘন্টা, বাসাবাড়ী কিংবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের লাইন নিতে দিনের পর দিন,মাসের পর  মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ কাঙ্খিত বিদ্যুৎ পায়নি।

কিন্তু স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং (আলোর ফেরিওয়ালা) কার্যক্রমের আওতায় সোনাগাজী উপজেলার সাধারন মানুষের বাড়ি বাড়ি ভ্যানে করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ ও মিটার পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারী) পল্লী বিদ্যুৎ সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: আবু সাইদ “আলোর ফেরিওয়ালা” কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।এসময় জোনাল অফিসের এজিএম দেবাশীষ পাল,সদস্য সেবা কো-অর্ডিনেটর উত্তম কুমার সেন, লাইন টেকনেশিয়ান মো: হারুন, লাইনম্যান আনিসুর রহমানসহ স্থানীয় গনমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কার্যক্রমের আওতায় সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহাম্মদপুর গ্রামের  গ্রাহক মাহমুদুল হক বলেন, এভাবে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবো কখনোই ভাবিনি এমনকি কল্পনাও করিনি।সরকারের এ কার্যক্রম প্রশংসার দাবীদার।সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ধন্যবাদ।

সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: আবু সাঈদ বলেন, আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রমটি চলমান থাকবে। প্রথমদিন উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন,চরদরবেশ ইউনিয়ন,চরছান্দিয়া ইউনিয়ন,আমিরাবাদ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ৮টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।নগদ ৯৬৫ টাকা জমা দিয়ে গ্রাহক তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে।গ্রাহক হয়রানী কমাতে এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
 

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ