আজকের শিরোনাম :

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায়

তারাগঞ্জে রাস্তা অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:১১

রংপুরের তারাগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় মজনু মিয়া গুরুতর আহত ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তা অবরোধ করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ।

প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়, আজ বুধবার সন্ধ্যায় অনুমান সাড়ে ৬টায় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সাইদার মিস্ত্রির ছেলে মজনু মিয়া (৪৫) সিএনজি (মাহিন্দ্রা) চরে ইকরচালী বাজার হতে তারাগঞ্জ নতুন চৌপথি যাচ্ছিলেন। ওই সময় উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে পিছন থেকে একটি অজ্ঞাত ট্রাক সিএনজিকে ধাক্কা দেয়।  এতে মজনু মিয়া গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক ঘন্টা ওই ব্যক্তি চিকিৎসা ছাড়া হাসপাতালের গেটে ভ্যানের উপরে থাকে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে কয়েক শতাধিক লোকজন রংপুর-দিনাজপুর মহা-সড়কে হাসপাতালের সামনে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তা অবরোধ করে বিভোক্ষ করে।

 জামিনুর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন আমি ঘটনার পর পরেই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু প্রায় ১ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। মজনু মিয়ার স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন আমরা সেবার জন্য মেডিকেলে আসি, কিন্তু চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন খোজ-খবর নেয় না। ওই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক মিজানুর রহমান বলেন, এ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় ১ মাস ধরে নষ্ট। আমি এখন কি করবো। স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি।

 হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার গোলাম রসুল রাখি বলেন, আমাদের এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। । সড়ক দুর্ঘটনায় এলাকাবাসী হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে । কিন্তু ওই দুর্ঘটনায় রোগীকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।

তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, টেলিফোন করে ছিলো তবে ঘটনা স্থল জানতে পারিনি। পরে আমি ঘটনাটি জেনেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, এ্যাকসিডেন্টের বিষয়টি জেনেছি।  তবে এ্যাম্বুলেন্সটি ঠিক করার জন্য রংপুরে গ্যারেজে দিয়েছি। ঠিক করতে সময় ও টাকার প্রয়োজন। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

 তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, বিষয়টি জানার পরপরেই পিক-আপ ভ্যানসহ অফিসারদের পাঠিয়েছি। তবে গাড়ি ও ঘাতক চালকের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জিন্নাত আলী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় রাস্তা অবরোধের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি।

এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ