আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে ফসলি জমিতে ১৫ বছর ধরে দাড়িয়ে আছে ব্রীজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০৭

রাস্তা নেই তারপরও ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রীজ। রাস্তা ছাড়াই ১৫ বছর আগে নির্মিত ব্রীজটি একাই দাড়িয়ে আছে।কার স্বার্থে লাখ লাখ টকা ব্যায়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে উত্তর খুঁজে পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।

সোনাগাজী উপজেলার মজলিশপুর ইউপির চরবদরপুর গ্রামে অলি মাঝি বাড়ী সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীর কুল ঘেষে নলার উপর নির্মিত প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রীজটি জনগণের কোন কাজে আসেনি।অদুর ভবিষ্যতে কাজে আসবে এমন কোন সম্ভবনা নেই।ব্রীজের আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন বসতবাড়ী নেই,নেই কোন জনসাধারনের চলাচল।

ব্রীজটির কোয়াটার কিলোমিটার উত্তরে ছোট ফেনী নদী,২কিলোমিটার পশ্চিমে চরবদরপুর মাওলান পাড়া সড়ক,১ কিলোমিটার পূর্বে তাকিয়া বাজার - কুটিরহাট সড়ক, আশেপাশে যতদুর চোখ যায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ।

জানা গেছে,২০০৩ সালে উপজেলা প্রেকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ও ৮ ফুট প্রস্তের ব্রীজটি নির্মান করে। ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও ওই স্থানে কোন সড়ক নির্মান করা হয়নি।ফলে নির্মানের ১৫ বছর পরও ব্রীজটি অব্যবহ্নত রয়ে গেছে।

মজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম তৌকি কালাচান বলেন, ২০০৩ সালে আমার শপথ গ্রহনের কয়েকমাস পর ব্রীজটির নির্মান কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।জনবসতি নেই,রাস্তা নেই তারপরও কেন ব্রীজটি নির্মান করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন রেখে  উপজেলা প্রোকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন সরকার বরাদ্ধ দিয়েছে তাই আমরা কাজ করছি।অপ্রয়োজনীয় স্থানে ব্রীজটি নির্মান না করতে উপজেলা সমন্বয় সভায় কয়েকবার অনুরোধ জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি।

 মজলিশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন্ সম্পাদক নুর করিম বাহারসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কি কারনে এবং কাদের ব্যাবহারের জন্য ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে আমরা জানিনা।১৫ বছর ধরে অব্যবহ্নত থাকার কারনে ব্রীজটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ব্রীজটি যখন নির্মাণ করা হচ্ছিলো তখন এলাকাবাসী ১ কিলোমিটার দুরে মাওলানাপাড়া সড়কে নির্মান করার অনুরোধ করা হলেও তার কারো কথা আমলে নেয়নি।

মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের কোন প্রয়োজন ছিলনা। “সরকারী মাল দরিয়ায় ঢাল” এমন উক্তি ছাড়া আর কিছুই করতে পারছিনা।অপ্রয়োজনে সরকারের ৩০ লাখ টাকা জলে পেলানো হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা প্রেকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, বিষয়টি অনেক আগের ঘটনা তারপরও রাস্তা ছাড়া কি কারনে বিপুল টাকা ব্যায়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।

সোনাগাজী উপজেলা দুর্নীতি প্রেিরাধ কমিটির সহসভাপতি হাজী আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো জনগনের স্বার্থে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। জনগনের স্বার্থ ছাড়া কোন প্রকল্প বাসÍবায়ন করা হলে ধরে নিতে হবে সেখানে দুর্নীতির উদ্যেশ্য নিয়ে করা হয়েছে।ঘটনার বর্ননা শুনে বুঝা যাচ্ছে হয়তো কোন ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রধান্য দিতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে।


এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ