তিতাসে হত্যা মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৯
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় হত্যা মামলার বাদী ও উপজেলার জগতপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেনকে (৫২) আসামীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এ্যালোপাথারি কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলার ১ম দশানীপাড়া গ্রামে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার বিকালে কামাল হোসেন তার দেড় বছর বয়সী নাতি রোহান ও ৫বছর বয়সী রিফাকে নিয়ে বাড়ির সামনে শিশু-কিশোরদের ব্যাডমিন্টন খেলা দেখছিল, এমন সময় পেছনের ভূট্টা ক্ষেতে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা কামাল হোসেনের ছেলে নয়ন হত্যা মামলার প্রধান আসামী এবং তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মনির হত্যা মামলার আসামী কালা আশেকের ছেলে রিয়াজ (২২), মেয়ে নাছরিন ও নাহিদা স্ত্রী রুবি আক্তার ধারালো অস্ত্র নিয়ে কামালের ওপর অতর্কিত হামলা করে এ্যালোপাথারি কুঁপিয়ে হাত-পা ক্ষত-বিক্ষত করে ভেঙ্গে ফেলে।
কামাল হোসেনের স্ত্রী রিনা আক্তার জানান, ২০১২ সালে আমার ছেলে নয়নকে কালা আশেক গং হত্যা করে এবং তারই জের ধরে তাদের সাথে আমাদের মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে। কালা আশেক উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মনির হত্যা মামলারও অন্যতম আসামী। এবং দীর্ঘদিন ধরেই আশেকের ছেলে মেয়েরা আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারই জের ধরে আজ আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করে।
তার আর্তচিৎকার শুনে আমি এসে এই অবস্থা দেখে চিৎকার চেচামেচি করলেও স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসেনি। এমন সময় তিতাস থানার এএসআই সারোয়ার পশ্চিম দিক থেকে এসে আমাকে সহযোগীতা করে এবং আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাতে সাহায্য করে।
এদিকে কামাল হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা জগতপুর ইউনিয়নহ আশেপাশের এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং খুনী পরিবারটিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইনÑশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান স্থানীয় রাজনীতিক নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী।
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ