আজকের শিরোনাম :

চুয়াডাঙ্গায় সততার আলো ছড়িয়ে দিতে সততা ষ্টোর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:২৫

প্রাথমিকস্তরের কোমলমতি শিক্ষার্থীর মাঝে সততার আলো ছড়িয়ে দিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সততা ষ্টোর চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

আর এরই মাধ্যমে পড়ালেখায় বাড়তি মনোনিবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবক্করী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে সততা ষ্টোর। 

দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে সততা স্টোরে নেই কোন বিক্রেতা। বিক্রেতা না থাকলেও এসব ষ্টোর থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারবে। আলমারিতে রাখা আছে কলম, খাতা, চকলেট, চিপসসহ কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন খাওয়ার সামগ্রী।

প্রতিটি পণ্যের নির্ধারিত দাম উল্লেখ্য করা আছে পণ্যের উপরে। যেকোনা শিক্ষার্থী তার পছন্দমতো পণ্যটি কিনে ক্যাশ বাক্সে টাকা জমা রাখছে। শিক্ষার পাশাপাশি সৎভাবে চলার অনুশীলন কেন্দ্র এই সততা ষ্টোর। 

মূলত দোকানের প্রকৃত বিক্রেতা এবং ক্রেতা হলো শিক্ষার্থীরা নিজেরাই।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সততা ষ্টোর চালু হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের উল্লাসে স্কুলটি যেন রাঙ্গিয়ে উঠেছে। 

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুরা তাদের মাঝে সততার চিহ্ন খুঁজে পাবে। ছোট পরিসরে এই সততা স্টোর চালু হলেও ভবিষ্যতে বড় পরিসরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে স্কুল কর্র্তৃৃপক্ষের।

স্কুলের শিক্ষার্থী মরিয়ম বলে তাদের স্কুলে সততা স্টোর হওয়ার পর সকলের মনের মধ্যে বাড়তি আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। 

মরিয়মের মতোই রিমি, আকাশ, শ্রাবণ একই সুরে বলে, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কিভাবে সৎভাবে চলব তা সততা ষ্টোরের মাধ্যমেই শিখতে পারছি। 

দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান জানান, সৎ, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠনে এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে তৈরি করার লক্ষে এ সততা ষ্টোর চালু করা। সততা ষ্টোরে সততার চর্চার একটি প্লাটফর্ম শিক্ষার্থীদের জন্য। 

যা আস্তে আস্তে কোমলমতি শিশুদের সত্যের পথে চলতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

এবিএন/সনজিত কর্মকার/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ