ডোমারে মূর্তি আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান আটক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৩
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চামুয়ার বিল খননে মাটির ভিতর হতে পাওয়া গৌতম বুদ্ধদেবের মূর্তিটি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সরকারি সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগে রবিবার ইউপি চেয়ারম্যান কালামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে ফরহাদ হোসেনকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
শনিবার রাতে এএসপি জয়ব্রত পাল ও থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোকছেদ আলী চেয়ারম্যানের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুর্লভ মূল্যের এই মূর্তিটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে এটি গৌতম বুদ্ধদেবের মূর্তি।
গৌতম বুদ্ধদেবের মুকুটসহ মুখমন্ডল সাদৃশ্য উদ্ধার হওয়া পাথরের মূর্তিটি সাড়ে ছয় ইঞ্চি দৈঘ্য, প্রস্থ আড়াই ইঞ্চি ও ওজন সাড়ে সাত শত গ্রাম।
থানা সুত্র জানায়, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ১১ জানুয়ারী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চামুয়ার বিলে খনন কাজ শুরু হয়।
খননকালে মাটির ডিবির উপর পরে থাকা একটি পাথরের মূর্তি দেখতে পায় একটি শিশু। মূর্তিটি ধুয়ে নিয়ে আসার পথে মূর্তিটি সংরক্ষণের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে ফরহাদ হোসেন নিজের কাছে রেখে দেয়। এলাকায় বিষয়টি চাউর হলে ফরহাদ হোসেন মূর্তি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।
প্রশাসন পর্যন্ত বিষয়টি গড়ালে শনিবার গভীর রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোকছেদ আলী চেয়ারম্যানের বাড়ি হতে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রবিবার বিকালে সরকারি সম্পত্তি গোপন করে আত্মসাতের অভিযোগে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বর্তমানেও তিনি থানা হেফাজতে রয়েছেন।
সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের বড় ছেলে ও মূর্তি আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন জানান, চামুয়ার বিলে মাটি খননের সময় একটি পাথরের মুর্তি পাওয়া যায়।
মূর্তিটি আমি সংরক্ষণ করে আমার বাবার (চেয়ারম্যান) মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই। তবে প্রথম থেকে মূর্তিও বিষয়টি অস্বীকার করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দুর্লভ এই মূর্তিটি আত্মসাতের চেষ্টা করছিল ফরহাদ হোসেন।
ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোকছেদ আলী জানান, গৌতম বুদ্ধ দেবের মুকুটসহ মুখমন্ডল সাদৃশ্য একটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মূর্তিটি কষ্টি পাথরের কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। মূর্তিটি সংরক্ষণের জন্য রংপুর তাজহাট যাদু ঘরে পাঠানো হবে।
তিনি আরো জানান, মূর্তিটি আত্মস্মাৎ চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করে প্রমাণ পাওযা গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: উম্মে ফাতিমা জানান, মূর্তি উদ্ধারের পর হতে বিলটির খনন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাটি কাটা শ্রমিকরা বলছে, সিড়ি সাদৃশ্য কিছু তারা দেখতে পেয়েছে।
প্রত্মতান্ত্রিক বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের পর বিলটির খননের বিষয়ে সিন্তান্ত নেয়া হবে।
এবিএন/মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ