আজকের শিরোনাম :

শত বছর পর যৌবন ফিরে পেলো সুবামানজিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৪

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সুবা মানজিল শত বছর পর ফিরে পেলো তার যৌবন।

উপজেলার কদমতলী গ্রামে শত বছরের নির্মীত সুবামানজিলটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নির্মাতাদের উত্তরসূরিদের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় এই মানজিলটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। 

মানজিলটি এক নজর দেখার জন্য আসছে  দেশ ও বিদেশের আতœীয় স্বজন এবং দেশের ভিবিন্ন জেলা ও  উপজেলা থেকে দর্শনার্থীরা। 

সুবামানজিলের উত্তরসূরি আবু মোতালেব পারুল (৭০) জানান সুবাগাজী আমার বড় বাবা হয়। ওনার ৪ ছেলে ছিলেন তারা হলেন চান্দ আলী, হাজী সায়েদ আলী, হাজী জায়েদ আলী ও আমজাদ আলী। 

তাহারা সবাই পাটের ব্যবসা করতেন ঢাকা নোয়াবদের সাথে। হাজী জায়েদ আলীর জ্যৈষ্ট পুত্র মো. সামসুল হক ১৯৫৭ সালে ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। সুবাগাজীর চার ছেলে পিতার নামটি স্বরণ রাখতে ১৯১৭ সালে ১২ শতক ভূমির উপর সুবা গাজীর নামে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট্য সুবামানজিল নামকরণ করে মানজিলটি নির্মাণ করেন। মরহুম সামসুল হক চেয়ারম্যান ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক। 

এই সুবামানজিলটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প এখান থেকে এ এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন এলাকায় জেতেন, আবার অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এখানে এসে আশ্রয় নিতেন। 

বিগত দিন গুলিতে উক্ত মানজিলটির সংস্কার কাজ না হলেও মরহুমদের উত্তসূরি হিসেবে আবু মোতালেব পারুল, ইকবাল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মাুমন, আবু জায়েদ, আবু মুছা, মহিউদ্দিন ও স্বপন মিয়া ২০১৬ সালে সুবামানজিলের সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেই। 

প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করি। বর্তানে এই সুবামানজিলে শুধু আমাদের অতিথি আসলে খুলে দেয়া হয়। 

তিনি অরো বলেন এই মানজিলটির সংস্কার কাজ শেষ হতেই অনেক অতিথি মানজিলটি দেখতে আসছেন। 

সম্প্রতি উক্ত মানজিলের শত বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করেন মানজিল নির্মাতাদের উত্তরসূরিরা।

এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ