আজকের শিরোনাম :

ঝালকাঠিতে আমনের বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকটে কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪২

ঝালকাঠি জেলায় এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।  ফসল কাটা ও মারাই করতে কৃষকরা এখোন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে দৈনিক উপার্যনে এলাকার ভূমিহীন কৃষক ও উঠতি যুবকরা অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পরায় মৌসুমে আমন ধান কাটা শ্রমিক সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে।

আবাহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে ধানের আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান কর্তন-মারাই নিয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পরেছে। তাই আমন ধান চাষ করে এবার কৃষকরা লাভবান হওয়ার আশা করলেও তাদের মুখের হাসির ঝলক লক্ষ করা যাচ্ছেনা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে,‘ ঝালকাঠি জেলা এবছর ৪৯ হাজার ৯৪১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বীজ রোপন থেকে শুরু করে ধান কর্তন পর্যন্ত কোন রকম বৈরি আবাহাওয়া না থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। গত বছরে অসময়ের বৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রকৃতিক বিপর্যয় থাকায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পঁচে গিয়ে ফলনের বিপর্জয় হয়। ফলে কৃষক বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরলেও এ বছরের চিত্র ভিন্ন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্ত জানিয়েছে, এবছর আমন ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ১৬৯ মে.টন। এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ফসল কাটা হয়েছে। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় এক লক্ষ মে.টন। তবে মৌসুমের শেষে ফলনও হয়েছে বিগত ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমান। এই অভুতপূর্ব ফলন দেখে কৃষকরা আশায় বুক বেধেছে। তবে কৃষকদের দাবি ভাল ফলনের পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ফসলের যেন ন্যায্য মূলে নিশ্চিত করে সরকার। তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিরদুখী কৃষককূল আগ্রহ নিয়ে চাষাবাদ করবে, অর্থনৈতিক ভাবেও তাদের উন্নতি হবে।

নলছিটি উপজেলার প্রতাপ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবছর আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য যেন আমরা পাই সে ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

একই এলাকার কৃষক আব্দুল বারেক খান বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিকের পারিশ্রমিক অনেক বেশি। ফলস রোপন থেকে শুরু কর্তন পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়। ধানের দাম বেশি হলে আমরা বাঁচতে পারি আর কম হলে আমাদের বাঁচার কোন পথ থাকে না। তবে বর্তমানে ধান কাটা শ্রমিকের চরম সংকট হওয়ায় ধানকাটা ও মারাইয়ের কাজ নিয়ে চাষীরা ভীষন দূশ্চিন্তায় রয়েছে। বর্তমানে আমন ধানের ( ৪০) কেজি মনপ্রতি ৮শ থেকে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন,‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখানকার কৃষকদের আমরা বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি নানা ভাবে উপকরন সহায়তা দিয়েছি। সর্বপরি আমন মৌসুমে এবারের আবাহাওয়া ভাল থাকায় এবছর ফলনও ভাল হয়েছে।

এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ