চুয়াডাঙ্গায় শ্রম দিয়ে নিজেরাই তৈরি করছে সড়ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৫
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েও মেলেনি গ্রামের রাস্তা।
অবশেষে কষ্ট আর শ্রম দিয়ে নিজেরাই দুই গ্রামের মাঝে প্রায় ৩ কিলিামিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক তৈরি করছে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের লোকজন।
জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের প্রায় দুইশ থেকে তিনশ জন প্রতিদিন পালাক্রমে নিজেদের ঝুড়ি, কোদাল নিয়ে রাস্তা তৈরির কাজে অংশ নিচ্ছেন তারা।
ইতিমধ্যে রাস্তার কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে এসেছে।
তবে, মাটি দিয়ে রাস্তার প্রাথমিক কাজ শেষ হবার পর সরকারি অর্থায়নে রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী জানান, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া ও মাখালডাঙ্গা গ্রামের মাঝে এই সংযোগ সড়কটি কিছুদিন আগেও ছিলো চলাচলের অনুপযোগী। বর্ষকালে গ্রামের কেউ মারা গেলে লাশ গোরস্থানে নিয়ে যেতে পারত না গ্রামবাসী। রাস্তার জন্য অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও মেলেনি কোন আশ্বাস। সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় গ্রামের তিন শতাধিক পুরুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেরদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। রাস্তা তৈরিতে অংশ নেয়া ওই গ্রামের কৃৃষক মজিবুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। ইতিমধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তাটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাবে। ছোট-বড়, ধনী-গরীব সব ভেদাভেদ ভুলে রাস্তা তৈরির কাজে এখন ব্যস্ত গ্রামবাসী। দশম শ্রেণীর ছাত্র রকিব হাসান জানান, তার মত গ্রামের আরো অনেকে নিজেদের শ্রমে তৈরি করছে রাস্তা। নিজেদের তৈরি এই রাস্তাটি গ্রামবাসীদের জন্য যাতায়াতসহ নানা অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে বলেও মনে করে সে। গৃহবধূ ময়না জানান, তার স্বামী আর দুই ছেলেও যোগ দিয়েছে রাস্তা তৈরির কাজে। রাস্তাটি হলে পাল্টে যাবে গোটা গাড়াবাড়িয়া গ্রামের দৃশ্য। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীম বারী জানান, সরকারি তহবিল থেকে গ্রামের রাস্তাটির জন্য যতটুকু সম্ভব তার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এবিএন/সনজিত কর্মকার/গালিব/জসিম
তবে, মাটি দিয়ে রাস্তার প্রাথমিক কাজ শেষ হবার পর সরকারি অর্থায়নে রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী জানান, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া ও মাখালডাঙ্গা গ্রামের মাঝে এই সংযোগ সড়কটি কিছুদিন আগেও ছিলো চলাচলের অনুপযোগী। বর্ষকালে গ্রামের কেউ মারা গেলে লাশ গোরস্থানে নিয়ে যেতে পারত না গ্রামবাসী। রাস্তার জন্য অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও মেলেনি কোন আশ্বাস। সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় গ্রামের তিন শতাধিক পুরুষ অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেরদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। রাস্তা তৈরিতে অংশ নেয়া ওই গ্রামের কৃৃষক মজিবুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। ইতিমধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তাটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাবে। ছোট-বড়, ধনী-গরীব সব ভেদাভেদ ভুলে রাস্তা তৈরির কাজে এখন ব্যস্ত গ্রামবাসী। দশম শ্রেণীর ছাত্র রকিব হাসান জানান, তার মত গ্রামের আরো অনেকে নিজেদের শ্রমে তৈরি করছে রাস্তা। নিজেদের তৈরি এই রাস্তাটি গ্রামবাসীদের জন্য যাতায়াতসহ নানা অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে বলেও মনে করে সে। গৃহবধূ ময়না জানান, তার স্বামী আর দুই ছেলেও যোগ দিয়েছে রাস্তা তৈরির কাজে। রাস্তাটি হলে পাল্টে যাবে গোটা গাড়াবাড়িয়া গ্রামের দৃশ্য। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীম বারী জানান, সরকারি তহবিল থেকে গ্রামের রাস্তাটির জন্য যতটুকু সম্ভব তার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এবিএন/সনজিত কর্মকার/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ