উলিপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু : স্বামী আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৮

কুড়িগ্রামের উলিপুরে দিপালী রানী দাস (২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বিশ্বাস চন্দ্র দাসকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করছে।

গৃহবধূ দিপালীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধায় পৌরসভার রামদাসধনিরাম মাঝিপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার বুধবার বিকেলে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছেন।

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা গ্রামের শ্যাম চন্দ্র দাসের পুত্র বিশ্বাস চন্দ্র দাস (২৮) এর সাথে উলিপুর পৌরসভার রামদাসধনিরাম মাঝিপাড়া গ্রামের উপেন চন্দ্র দাসের মেয়ে দিপালী রানী দাস (২৫) এর ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।

তারা জুয়েলারী ব্যবসার সুবাদে দিপালীর বাবার বাড়ির কাছেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকালে বিশ্বাস চন্দ্র ভাড়াকৃত বাসায় বিকেলে দিপালী বিদ্যুৎস্পষ্টে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়েছে বলে প্রচার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে সে তড়িঘড়ি করে লাশ সৎকারের জন্য শ্বশানে নিয়ে দাহ করার প্রস্তুতি নেয়। লাশ সৎকারে জামাইয়ের তড়িঘড়ি দেখে শ্বশুর উপেন চন্দ্রের সন্দেহ হলে তিনি  থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ শ্বশান থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে স্বামী বিশ্বাস চন্দ্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই নিহতের পিতা উপেন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দিপালীর বাবা জানান, তার জামাই ওই এলাকার নিপা রানী দাস (১৮)নামের এক তরুনীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। গত ১ মাস আগে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে বিশ্বাস চন্দ্র ওই তরুনীকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ৮ দিন পর পরিবারের লোকজন তাদেরকে ফিরিয়ে এনে বিষয়টি পারিবারিক ভাবে আপোষ মিমাংসা করে দেয়।

এরপরও বিশ্বাস চন্দ্র ওই তরুনীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকে। উলিপুর থানার ওসি তদন্ত আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আটককৃত বিশ্বাস চন্দ্রকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

এবিএন/আব্দুল মালেক/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ