আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে শংকায় কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩২

সুনামগঞ্জে গত বছর ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এই সময়ে প্রায় অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছিল। 

সেখানে এই বছর অর্ধেক পিআইসি কমিটি এখনও গঠিত হয়নি। বাঁধের কাজ শুরুর আগেই টাকা ছাড় দিয়েছে পাউবো। টাকা ছাড় হলেও সংশ্লিষ্টরা কমিটি নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এখনও। 

এ দিকে কিছু কিছু এলাকায় পিআইসি কমিটি গঠিত হলেও পরিবার কেন্দ্রিক কমিটি গঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। এমন হলে বাঁধের কাজে লুটপাটের মহোৎসব চলতে পারে এমনটাই ভাবছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা। 

এই ভাবে ঢিমেতালে কমিটি হলে কবে শুরু হবে কাজ কবে শেষ হবে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজছেন সচেতন মহল। 

জেলার ৩৭টি হাওরে পানি আসে ৩০ মার্চের আগেই। এ পানি উপচে তলিয়ে যায় বোরো ফসল। গেল বারের বাঁধ নির্মাণে সুফল পেলেও অনেক বাঁধই ভেঙ্গে গেছে। 

এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সময় মত সংস্কার না হলে পানি এসে মাটি নরম করে ফসলহানীর শংকা বাড়াবে। 

নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। দেখা গেছে নীতিমালা অনুযায়ী কোন কমিটি গঠিত হয়নি। 

ডিসেম্বরের শুরুতেই পিআইসি কমিটি গঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ উপজেলার ৫৫৩টি পিআইসির কমিটির মধ্যে ২৪৫ কমিটি গঠিত হয়েছে। অনুমোদিত কমিটিগুলো ৫টি উপজেলায় সম্পন্ন হলেও বাকি ৬টিতে এখন কোন কমিটি হয়নি। 

এ দিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯৩ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে। 

তন্মধ্যে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির অনুকূলে ছাড় দেয়া হয়েছে। টাকা ছাড় প্রক্রিয়া শুরু হলেও হচ্ছে না পিআইসি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। 

পিআইসি কমিটি গঠনে বিলম্ব হলে কাজ শুরুটাও বিলম্ব হয়। এই ভাবে বিলম্ব হলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যাবে কিনা শংকায় রয়েছেন কৃষক। তাই হাওরপাড়ে প্রশ্ন উঠেছে বাঁধের কাজ কবে হবে শুরু কবে হবে শেষ। 

অপরদিকে পিআইসি কমিটি গঠনের শুরুতে শাল্লায় পরিবার কেন্দ্রিক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে এসব কমিটি বাতিল করে স্বচ্ছ কমিটি গঠনের দাবী কৃষকদের। 

শাল্লার এসও শমসের আলী মন্টু বলেন, আমাদের উপজেলায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হওয়ার পথে। 

পরিবার কেন্দ্রিক কমিটির ব্যাপারে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানরাই এসব কমিটির তালিকা দিয়েছেন। যাচাই বাঁচাই করে অবশ্যই কমিটি গঠিত হবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বার বার তাগাদা দেয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা কমিটি করছে ধীর গতিতে। 

এমন হলে সময় মত কাজ শেষ করতে হিমশিম খেতে হবে। 


আশাকরি কয়দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে এবং বাঁধের কাজও শুরু করা যাবে।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ