আজকের শিরোনাম :

গলাচিপায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ কেটে ভূমিদস্যু কর্তৃক তরমুজ চাষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৬

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদী ভাঙ্গনের কারণে ঝুকিপূর্ণ ভেড়ী বাঁধ কেটে তরমুজ চাষ করেছে স্থানীয় ভূমি দস্যু আলমাস মোল্লা।

সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড চরশিবা ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চরকাজল এলাকায় ভেড়ী বাধেঁর বাহিরের অংশ ও বিভিন্ন প্রজাতির লাগানো গাছ কেটে তরমুজ চাষ করায় সরকারি কোটি টাকার বাধঁ এখন হুমকির মধ্যে বলে জানিয়েছন স্থানীয় জনসাধারণ।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বেরী বাঁধ রক্ষায় সরকারি বন বিভাগ কর্তৃক  বন ও গাছ গুলোর চিহ্ন পর্যন্ত নেই। 

এমনিতেই চরকাজল ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হিসেবে প্রতি বছর ঝুকিতে থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে  জলোচ্ছাসের কারণে যে কোন মূহুর্তে ধসে এলাকার হাজার হাজার জন সাধারণের বিভিন্ন রকম ফসল, ঘর বাড়ী, গৃহপালিত পশু ও গাছপালাসহ  প্রাণহানিকর ব্যাপক ক্ষতি পর্যন্ত  হয়। যার ক্ষতি পুষিয়ে না পারায় অনেকেই পারি জমিয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। 

আরো জানা যায়, চরশিবা গ্রামের সৈয়দ মোল্লার ছেলে আলমাছ মোল্লা (৩০), তার আত্মীয় স্বজন ঐ স্থানীয় প্রভাবশালীর আত্ত্বিয়ের পরিচয়ে নিজেকে জাহির করে থাকেন। 

সেই প্রভাব খাটিয়ে এ রকম অনৈতিক কাজ করছেন। তিনিই হচ্ছেন এসব অনৈতিক কাজের নাটের গুরু। 

তাকে অনুসরণ করে ছোট ছোট আকারে অনেকেই ভেড়ী বাঁধের উপর তরমুজ চাষ করার সাহস পেয়েছেন। আলমাস মোল্লার চাষকৃত জায়গা প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমি যা সম্পূর্ন ভেড়ী বাঁধের উপর যা পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক নির্মিত। 

ঘটনার নায়ক আলমাস মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি নাকি কোন অন্যায় কাজ করেনি,  তিনি যা করেছেন তা ঠিকই করেছেন।

বিভিন্ন প্রশ্নের পরে অবশ্য বলেছেন, একটু অন্যায় হলেও হতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেখুন নদী ভেঙ্গে এমনিতেই ভেড়ী বাঁধ প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ভেড়ী বাঁধ এমনিতেই ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। আসলে এ রকম ভেড়ী বাঁধ খনন করে চাষ করার কোন আইনগত ভিত্তি নেই।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুবেল মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি রিসিভ করেননি। 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালী জেলা কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, ইতোপূর্বে উক্ত বিষয়টি আমরা জেনেছি এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। 

খুব শীঘ্রই দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে পটুয়াখালী জেলা বন কর্মকর্তা মেঃ আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে সরকারি উদ্যোগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রক্ষাকারী গাছ কাটার বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে জানান। 

এবিএন/মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল/গালিব/জসিম   
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ