আজকের শিরোনাম :

দুর্গাপুরে শীতে ব্যাহত হচ্ছে বোরো চাষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৫৭

নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে শীত, কনকনে বাতাস ও কুয়াশার কারণে দিনমজুর সংকটে চলতি বোরো চাষ অনেকাংশ ব্যাহত হতে চলেছে।

এ নিয়ে বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শীত ও কনকনে বাতাসের কারণে, ৪শত টাকার দিনমজুর ৫ থেকে ৬ শত টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছেনা। 

তবে পাহাড়ী অঞ্চলে আদিবাসী দিনমজুরদের চাহিদা অনেক বেশী থাকায় কেউ কেউ অগ্রিম টাকা দিয়েও কৃষিকাজে দিন মজুর পাচ্ছেন না। 

উপজেলার বারোমারী, লক্ষীপুর, ফান্দা, গোপালপুর, নলুয়াপাড়া, দাহাপাড়া, ভবানীপুর, বিজয়পুর, রানীখং, আড়াপাড়া এসব গ্রাম গুলোতে দিনমজুর থাকলেও তাঁরা কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছে বেশী। 

সকাল ৮টার মধ্যে যারা কাজে যোগ দিতো তাঁরা সকাল ১০টায়ও কাজে আসে না। প্রয়োজনের তাহিদে যদিও কেউ কেউ আসে বিকেল ৪টা বাজতেই কাজ ছেড়ে চলে যেতে চায় সকলেই। 

এবার পাহাড়ী এলাকায় শীতের প্রভাব বেশী থাকায় প্রায়ই ঘনকুয়াশায় ঘিরে থাকে বিভিন্ন এলাকা গুলো। নি¤œ আয়ের মানুষের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতি ঘরেই খর-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। 

জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, এভাবে যদি আর ১৫দিন চলতে থাকে, তাহলে আমার মতো অনেকেই এবারের বোরো আবাদ করতে পারবে না। দিনমজুরের অভাবে অনেক কৃষকই এখনো ধানের ক্ষেত তৈরী করতে পারেনি। ধানের চারা সংগ্রহের পরেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি রোপন করতে না পারি, তবে ধান ক্ষেত তৈরী করেই বা কি হবে। 

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ধানের এলাকা হিসেবে খ্যাত দুর্গাপুরে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৫হাজার হেক্টর। আমার জানা মতে এখনো অর্ধেক জমি তৈরী করা হয়নি। 

এভাবে শীত ও কনকনে বাতাস চলতে থাকলে লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ