আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়  সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। সরিষা চাষ স্বল্প সময়ে উৎপাদনশীল একটি লাভ জনক রবিশস্য ফসল হওয়ায় এ উপজেলায় দিনে দিনে সরিষা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষকের সংখ্যা। 

অতীতে এ উপজেলার  কৃষকরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য শুধু সরিষা চাষ করতো। কিন্তু আমন ফসল ঘরে তুলার পর স্বল্প সময়ে এ চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এখন বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা। 

বর্তমানে উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। সরিষার এসব হলুদ ফুলে ভরে উঠা মাঠের দিকে তাকালে প্রাকৃতিক দৃশ্যই যেন হাতছানি দেয়, হলুদ ফুলে হাড়িয়ে যেতে। 

প্রকৃতির হলুদ ফুলে মৌমাছিরা মনের আনন্দে যেমন মধু সংগ্রহের নেশায় ছুটে আসে সরিষা ক্ষেতে। তেমনি সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরাও মনের আনন্দে ঝুকে পড়েছে সরিষা চাষে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরিষা চাষে কৃষকদের প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন খরচ হয় ২০হাজার টাকা। আর উৎপাদিত সরিষা বিক্রি হয় প্রায় ১লাখ টাকা। 

আমন ধান কাটার পর বোরো মৌসুমের পূর্বেই সরিষা ৮৫-৯০ দিনের মধ্যেই কৃষকরা অনায়াসে ঘরে তুলতে পারে এ ফসলটি। সরিষা ঘরে তুলার পর সরিষা আবাদকৃত জমি উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব জমিতে বোরো উৎপাদনও হয় বেশি।  

ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গত বছর সরিষা আবাদ হয়েছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। 

এ উপজেলায় সরিষা চাষীর সংখ্যা প্রায় ১হাজার। ধর্মপাশা  উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, গত বছর এ উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ হয়েছে  ৩৫০ হেক্টর জমিতে। 

এ উপজেলায় সরিষা চাষীর সংখ্যা প্রায় ১হাজার।  তিনি আরোও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্যোগ ও পরামর্শে আগামীতে সরিষা আবাদের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।


এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ