পলককে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় সিংড়াবাসী

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় সিংড়া উপজেলাবাসী। সিংড়াবাসীর প্রত্যাশা সৎ, যোগ্য, বিনয়ী ও তথ্য-প্রযুক্তির ফেরিওয়ালা পলক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে রাখবেন।

পলক ২০০৮ সালে বিএনপির গোলাম মোর্শেদকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেশের সর্ব কনিষ্ঠ এম.পি নির্বাচিত হোন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টির মিজানুর রহমানকে হারিয়ে আবারো এম.পি নির্বাচিত হোন, শুধু এম.পিই নয় তিনি সিংড়ার প্রথম মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায়ও নাম লেখান।

 সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ২লাখ ৩০ হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে বিএনপির দাউদার মাহমুদকে হারিয়ে তৃতীয় বারের মত এম.পি নির্বাচিত হোন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

২০০৮ সালে পলক এম.পি নির্বাচিত হওয়ার পর চলনবিলবাসীর স্বপ্নের সিংড়া-বারুহাস-তাড়াশ সড়ক নির্মাণ করেছেন। ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করেছে। ২৬টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূন:নির্মাণ/সংস্কার করেছে।

৬টি কলেজ, প্রায় ১০০টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও ৫টি মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ। ৩ তলা বিশিষ্ট ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে জরুরী সেবা প্রদানের জন্য উন্নতমানের ৩টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান। সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা। ৪২টি কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার।  ৮৫ হাজার পরিবারের মাঝে নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান।

নাটোর জেলার সর্ববৃহৎ ‘সিংড়া বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’ নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণ। সিংড়া পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। উপজেলা চত্বরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার নির্মাণ। ১০৫ কিলোমিটার খাল খনন। ৩২টি গভীর নলকূপ স্থাপন। উপজেলা ও পৌরসভার ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন।

 উপজেলা ও পৌরসভার ৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ।  ১২টি ব্রীজ (৮৮৭ মি) নির্মাণ। সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রীজ, ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে শহর রক্ষা বাঁধ স্থাপন করেছেন ও ২৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলনবিল ডিজিটাল সিটি নির্মাণের কাজ চলছে। সিংড়ার এ উন্নয়ন চলমান রাখতে পলককে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় সিংড়াবাসী।

সিংড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, পলক শুধু সিংড়ার নয় সারাদেশের সম্পদ। বিগত দশ বছরে সিংড়ার যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতুলনীয়। সিংড়ার এ উন্নয়ন ধরে রাখতে পলককে পূর্ণ মন্ত্রীত্ব দেয়া উচিত।
 

এবিএন/রাকিবুল ইসলাম/জসিম/তোহা