আজকের শিরোনাম :

সরিষাবাড়ীতে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি : আহত অর্ধশত, গ্রেপ্তার ১

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৮

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে জাহিদ হাসান হত্যা ও আদিপত্ত বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এতে উভয়পক্ষে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। সংঘর্ষ চলাকালে সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কে যান চলাচলা বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। শুক্রবার দুপুরে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। সম্প্রতি হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে আওয়ামী লীগে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তোফাজ্জল মিলিটারির লোকজন ইউসুফ আকন্দকে সোনামুই বাজার থেকে সাহাপাড়ায় ধরে নিয়ে রামদা ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিপক্ষের ২২টি পরিবারের অন্তত ৩০টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঘটনাস্থল থেকে আটক বিলাত মেম্বারের ছেলে নাসির উদ্দিনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন জনি (২০), নুরুল আকন্দ (৭৫), আক্তার (২৮), মারুফ হোসেন (৫৫), শরিফ (৩৫) ও সামছুল আকন্দ (৪৫)। এছাড়া সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ইউসুফ আকন্দ (৪৫) ও গোলাম মোস্তফাকে (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোতাহার হোসেন বলেন, বিশৃঙ্খলাকারী কেউ আওয়ামী লীগের হতে পারে না। তারা যে-ই হোক এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
    

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ