আজকের শিরোনাম :

জামালপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৩

নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন-জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আজ (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় মেলান্দহ উপজেলার নাওঘাটা বাবুলের গ্রামের নিজবাড়িতে অনুুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

 আ.লীগ কোথাও ধানের শীষের পোস্টার রাখতে দিচ্ছে না। পুলিশ ও মির্জা আজমের কর্মীবাহিনী দিয়ে তোপের মুখে ফেলে বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার ভয়ভীতি দেখিয়ে আ’লীগে যোগদান করাচ্ছে। এ মতবাস্থায় বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বিপুল ভোটে পরাজয়ের আশংকায় মির্জা আজম বিএনপি’র প্রতি এমন অন্যায়-অবিচার চালাচ্ছেন।

বাবুলের অভিযোগ, মির্জা আজমের মদদে আ’লীগ ও পুলিশের তান্ডব-হামলা-মামলা-দোকান-বসতবাড়ি-ভাংচুর-গ্রেপ্তার-হয়রানিতে বিএনপি’র নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতংকসহ ত্রাস সৃষ্টি করেছে। জামালপুর-৩ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীর সমর্থিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৭টি মিথ্যা গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

১৭দিনের ব্যবধানে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএপি’র সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু, মেলান্দহ সাবেক কৃষক দলের সভাপতি আলী আকবর কমিশনার, পৌরবিএনপি’র সহসভাপতি হাফেজ হযরত আলী কমিশনার, দুরমুঠ-কুলিয়ার মনসুর মেম্বার, সাহেব আলী মেম্বারসহ মোট ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৩২১জনকে আসামী করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাবুল অভিযোগ-হযরত শাহ্ কামাল (রহ) এর মাজার জিয়ারতের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতেই দুরমুঠ আ’লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যন সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীর নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালিয়ে বিএনপি’র বেশ কিছু নেতা-কর্মীদের আহত করে। এরপরও উল্টো এ ঘটনায় ৫২ জনকে আসামী করে মামলা দিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মির্জা আজমের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শ্রমিকরাও নিরাপদ নন। কয়েকদিন আগে মেলান্দহ রেলস্টেশনের রিক্সাচালক শামসুল হক শামসের রিক্সা পুড়ে দিয়েছে। দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে বাবুল আরো বলেন-আমার স্ত্রী শিউলী আক্তারসহ মহিলা কর্মীরা মাদারগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে মির্জা আজমের সন্ত্রসীরা মহিলাদের অশালিন মন্তব্যসহ নানাভাবে উস্কানি ও বিব্রত করছে। বিষয়টি মাদারগঞ্জ ইউএনও-ওসিকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পান নি। এ ব্যাপারে মির্জা আজমের স্মরণাপন্ন হয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচনের প্রতিকুল ও ভীতিকর পরিবেশের জন্য ডিসি-এসপি-ইউএনও-ওসি কারোর সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

পোলিং এজেন্ট নাপাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বাবুল বলেন-নির্বাচনে আছি। থাকবো ইনশাল্লাহ। তবে ভিন্ন  কৌশলে এজেন্ট টিকাবার চেষ্টা চালাচ্ছি। নির্বাচনে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভোটারের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর উপর সর্বশেষ ভরসা রাখছেন এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-মেলান্দহ বিএনপি’র সহসভাপতি-পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গী, সাধারণ সম্পাদক  আলহাজ এম. রফিকুল ইসলাম রহিম, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ সাংবাদিক নূরুল আলম সিদ্দিকী, আজম খান, প্রচার সম্পাদক লিটন মিয়া, শ্রমিক দলের সভাপতি সোলায়মান কমিশনার, যুবদলের আহবায়ক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ছাত্রদল নেতা সুমন মিয়া প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলা-উপজেলার প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ