আজকের শিরোনাম :

পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩১

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নে আ.লীগ এবং বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আ.লীগের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, সংঘর্ষে তাদের ৪ জন দলীয় নেতা আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরীসহ ৯ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উজানটিয়ার গোদারপাড় ও মগনামার কার্জি মার্কেটে  দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবদু রহমান জয়, উজানটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান কাফি ও মগনামা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সাকের উল্লাহ। আহতরে মধ্যে সাঈদুর রহমান কাফির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন,  মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী, উজানটিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সালাহ উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, মো. হাসেম, মো. কাইয়ুম, মো. কায়সার ও  মো. ফোরকান। এর মধ্যে আহত কাইয়ুম ও কায়সারকে পুলিশ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বেশিরভাগ নেতাকর্মীর হাতে লাঠি ছিল। বিক্ষোভ মিছিল থেকে উজানটিয়া ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকায় অবস্থিত নৌকার প্রার্থী জাফর আলমের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আহত করে। একই সময়ে মগনামার কার্জি মার্কেটে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে যুবলীগের সদস্যকে আহত করে। 

এ সময় দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এক পর্যায়ে আ.লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। 
পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ দিকে এ বিক্ষোভ মিছিলটি পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমহুনী ও বাজার এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাঠি সহকারে ধানের শীষ বেঁধে নিয়ে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিছিল সহকারে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রার্থী হাসিনা আহমেদের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করে। 

উজানটিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, লাঠি নিয়ে জঙ্গি মিছিল সহকারে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাসিনা আহমেদের সমর্থকরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন এমজারুল, ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, নওয়াব শরীফ, কায়সার, ইয়াসিন, কায়সার হামিদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী আমার ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। 

এ হামলায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গুরুতর আহত করে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে বিএনপির নাশকতা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করত।

মগনামা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ বলেন, বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফয়সাল চৌধুরীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী হাতে লাঠি নিয়ে মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ে আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের এক সদস্য আহত হয়।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন ভুঁইয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের অনুকূলে। এ ঘটনায় ৯জনকে আটক করা হয়েছে। 

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ