আজকের শিরোনাম :

রুমায় আদার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের স্বস্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৩২ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৫

আদা উৎপাদনে প্রসিদ্ধ বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এ বছর আদার বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার চাষীদের মনে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। 

বিগত মৌসুমে অতি বর্ষণের কারণে আদায় পঁচন ধরাতে একই সাথে চাষাবাদ খরচের বিপরীতে বাজার মূল্য আশানুরূপ না হওয়ায় বিপুল লোকসান গুণতে হয়েছিলো চাষীদের, কিন্তু এ মৌসুমে পরিমিত বৃষ্টির ফলে গোটা রুমা উপজেলায় আদার বাম্পার ফলন দেখা দেয়। বাজার ঘুরে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ আদা কেনা-বেচা চলছে, আদার মান ভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা প্রতি মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুমায় প্রতি বছর কয়েক হাজার একর জমিতে আদার চাষ হয়ে থাকে।

উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়ার আদা চাষী লালজার বমের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ মৌসুমে ১৫ একর জায়গায় ৫০ মণ আদা চাষ করেছিলেন, ফলন হয় ৪০০ মণ। 

এভাবে চাইরাগ্র পাড়ার থোয়াইগ্য মারমা, বাসতøাং পাড়ার জুয়েল বমসহ অনেক আদা চাষীর সাথে কথা বলে দেখা গেছে রুমায় এ বছর গড়ে প্রায় প্রতি মণ আদা থেকে ফলন হয়েছে ৮ মণ। 

উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আদার চাষ হয় রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নে, প্রতি বছর শুধু রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়ন থেকেই প্রায় ২০০০ টনের মত আদা বিক্রি হয়। উর্বর পাহাড়ি মাটি, অনুকূল আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অতি বর্ষণ না হলে চাষাবাদে কোন আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ না করেই প্রতি বছরই রুমায় আদার ফলন হয় সন্তোষ জনক। কেবল আদা চাষ করে লাখপতি হয়েছেন এমন আদা চাষীর সংখ্যাও নেহাত কম নয় রুমায়। ভালো ফলন এবং ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি দেখে স্বল্প কিংবা মাঝারি পুঁজি নিয়ে অনেকেই ঝুঁকছেন আদা চাষের দিকে। 

কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের মতে চাষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে আদার চাষ করা গেলে রুমায় লাখ লাখ টন আদার উৎপাদন সম্ভব। 


এবিএন/চনুমং মারমা/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ