আজকের শিরোনাম :

সদরপুরে মাদক ও চুরিতে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৮, ২০:০৬

সদরপুর (ফরিদপুর), ২৪ মে, এবিনিউজ : ফরিদপুর জেলার প্রবাসী অঞ্চলখ্যাত সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন অলিতে গতিতে মাদকসেবী ও অপ্রাপ্তরা বেপরোয়া ভাবে মোটর সাইকেল চালাচ্ছে। তাদের এ মরণঘাতী চলাচলে সড়কে নিরাপদ নয় স্কুল,কলেজ,শিশুরাসহ সাধারন মানুষ।

এ নিয়ে উপজেলা আইন শূঙ্খলা সভায় একাধিক অভিযোগ করা হলেও শুধু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদরপুর নির্বাহী অফিসার মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ ও সদরপুর থানা ইনচার্চ (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ।

অনেকে মনে করছেন তাদের হাতে সড়কে পথচারির প্রাণ গেলে হয়ত ওই আইনের বাস্তবায়ন করা হবে। সরজমিনে দেখা যায়, সদরপুরে প্রায় ৯০ ভাগই রেজিষ্ট্রেশনবিহীন অবস্থায় চলাচল করছে মোটর সাইকেল। এদের মধ্যে রয়েছে টানা গাড়ি(চুরি গাড়ি) যা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে বলে জানা যায়। মোটর সাইকেল শোরুম গুলো স্বপ্ল নগদ টাকা নিয়ে চড়া সুদে কিস্তিতে মোটর সাইকেল নিয়ে বছরের পর বছর রেজিষ্ট্রেশনহীন অবস্থায় চালাচ্ছে অথচ প্রশাসনের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই।

প্রতিদিন শত শত নেমপ্লেট বিহীন অবৈধ মোটর সাইকেল চলছে সদরপুরের বিভিন্ন রাস্তায়। অভিযোগ রয়েছে ওই মোটর সাইকেল গুলো যারা চালান তাদের এক শ্রেনি রয়েছে চোরা কারবারী, মাদক, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনন্সিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক নিরাপদে পৌঁছে দেওয়াসহ সেবন ও বিক্রয় করছেন গাড়ি যোগে। বাকিরা অভিযান না থাকার কারনে কাগজ বিহিন ভাবেই দেদারচ্ছে চালাচ্ছেন মোটর সাইকেল।

এছাড়াও যারা ড্রাইভার তাদের অনেকেই মাদক সেবন সহ ছিনতাই, চুরি, ইভটিজিং, খুন, ধর্ষণ, অপহরন, নারী-শিশু পাচারের কাজের সহিত জড়িত। মোটর সাইকেলগুলোতে কোন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর না থাকার কারনে তারা অবাধে ওই সকল অপরাধগুলো করে সহজেই পারপেয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বা পথচারীরা বা প্রশাসনের কেহই ড্রাইভার ও সাইকেলগুলো সনাক্তকরে আটকাতে পারে না। ওই সকল ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারা হেলমেট, হর্ন, হেডলাইট, ইনডেকেটর ব্যবহার না করেই বেপরোয়াভাবে ড্রাইভ করে থাকে ফলে অহরহ ঘটাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

যুব সমাজের কিছু উঠতি বয়সী নেশাগ্রস্থ যুবকেরা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল ব্যবহার করে অপকর্ম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সামাজিক সচেতন ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন নেমপ্লেট বিহীন মটর সাইকেল নিয়ে এসে মাদক দ্রব্য সরবরাহ করে এবং যাত্রীদের নেশা জাতীয় কিছু খাওয়াইয়া তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়ে যায়। স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের উত্যক্ত, শ্লীলতাহানী, যৌন হয়রানীসহ অসামজিক কাজকর্ম করে। ১টি মোটর সাইকেলে ৩ থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে যাত্রীদের।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদরপুর নির্বাহী অফিসার মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ ও সদরপুর থানা ইনচার্চ (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ আইন শূঙ্খলা সভায় বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বাপ্যারে উর্দ্ধৃতন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

এবিএন/সাব্বির হাসান/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ