আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে নৌকাকে নিয়ে দুই মেরুকরণে আ.লীগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করার পর ঠাকুরগাও-৩ (রাণীশংকৈল-পীারগঞ্জ) আসনে নৌকা মার্কার প্রতীক পেলেও পাননি নিজ দলের প্রার্থীকে। প্রতীক থাকলেও মনোনয়ন পেয়েছেন আ.লীগের শরিক দল ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সভাপতি ও বর্তমান সংসদ ইয়াসিন আলী। এ নিয়ে দুই মেরুকরণে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন আ.লীগ। 
তাই ক্ষোভে ঠাকুরগাও-৩ আসনের আ.লীগের সাবেক সংসদ ও পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটর গাড়ী প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। তার পক্ষে উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ  সহযোগী সংগঠনের  কোন, কোন, নেতা গোপনে প্রকাশ্য ভোট করতে নেমে গেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ভুমিকা রাখছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নওরোজ কাউসার কানন ও আ.লীগ নেত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল। 

অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় দলীয় মনোনয়ন না চেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সিংহ প্রতিকে মাঠে রয়েছেন। অধ্যক্ষ গোপালের পক্ষে আ.লীগ নেতার নির্বাচনে না থাকলেও হিন্দু ভোটার দের চুপি চুপি সমর্থন তার পক্ষে রয়েছেন বলে জানা যায়। 

এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজের মধ্যে দিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবেন এ লক্ষে গত শনিবার ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে কোন সিদ্বান্তে পৌছাতে পারেনি উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। পৌর শহরের বন্দরে অবস্থিত আ.লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হকের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। 

সভায় জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সেলিনা জাহান লিটা উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ যুগ্ন সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সম্পাদক মহাদেব বসাক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পৌর মেয়র আলমগীর সরকার সম্পাদক রমজান আলী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নওরোজ কাউসার কাননসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ইউনিয়ন  পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজউদ্দীন বক্তৃতা রাখার সময় আ.লীগের সাবেক সংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হকের পূর্বের কার্যক্রমের সমালোচনা করতে গেলে তাতে বাধ সাধে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পৌর মেয়র আলমগীরের সাথে। তাদের দুজনের মধ্যে এ সময় চরম বাকবিতন্ডা হয়। 

পরে উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়ে সভা শেষ করলেও সে-সিদ্বান্ত মানে নি অনেক নেতাকর্মী। সভাশেষে মোটরগাড়ীর পক্ষে আ.লীগের একটি অংশ শহরে মিছিল বের করেন। 

এর পরে নৌকার পক্ষে পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল পৌর শহরে প্রদক্ষিণ করে।  নির্বাচন বিষয়ে জেলা সেচ্ছা সেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদিকা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল বলেন আ.লীগের নৌকা ওয়ার্কাস পাটির ঘরে যাওয়ায় অনেক নেতাকর্মী সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে নেমেছে এ কারণে আমিও মোটর গাড়ীর পক্ষে নেমেছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো। যুবলীগ সভাপতি পৌর মেয়র আলমগীর সরকার এ প্রতিনিধিকে বলেন আ.লীগের ৮০ ভাগ ভোটার সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ ইমদাদুল হকের পক্ষে রয়েছে আমি ১৮ তারিখের পর তার পক্ষে নির্বাচনে নামবো। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন আমি আওয়ামী লীগ করি এজন্য আমি নৌকার পক্ষে ভোট করবো।

এবিএন/মোঃ মোবারক আলী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ