আজকের শিরোনাম :

ভূঞাপুরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণ করলো পাষন্ড পিতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:০৫

১২ বছরের নিজ কণ্যাকে ধর্ষণ করে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে মুজাফর আলী নামের এক পাষন্ড পিতা। পেশায় সে একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া বেপারী পাড়া গ্রামে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সবার সামনে ওই মেয়ে পিতা কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। স্বার্থলোভী স্থানীয় একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুজাফর ও তার পরিবারের লোকজনদের বুধবার মধ্যরাতেই এলাকা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া বেপারী পাড়াতে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো অটোরিকশা চালক মুজাফর আলী। মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। হঠাৎ করেই মেয়ের উপর কুনজর পড়ে মুজাফর আলীর। স্ত্রী বাইরে থাকায় মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ঘরে মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় সে। বিষয়টি স্থানীয় এক মহিলা দেখতে পেয়ে আশপাশের আরো কয়েকজন মহিলাকে দেখায়। পরের দিন বুধবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাষন্ড পিতা মুজাফরের বিচারের দাবীতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী।

 সরজমিনে বুধবার রাত ১০ টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে প্রচুর লোকের সমাগম। ঘরের ভিতরে পিতা মুজাফর ও মেয়ে আরেক খাটে শুয়ে আছে। হতাশার ছাপ নিয়ে এ প্রতিবেদকসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে ওই মেয়ে জানায়, আমার আব্বা আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। আর কিছু কইতে পারমুনা। এই বলে মেয়েটি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। মুজাফর জানায় আমি আমার মেয়েকে বুকে নিয়ে শুয়ে ছিলাম। আর কিছু করিনি। এদিকে স্বার্থলোভী স্থানীয় একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুজাফর ও তার পরিবারের লোকজনদের বুধবার মধ্যরাতেই এলাকা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিয়েছে।

ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম বেপারী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ওদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণীত হলে শরিয়ত মোতাবেক বিচার করা হবে।

বর্তমান ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে রাতে ১১টার দিকে আমি তাদের বাড়িতে ছুটে যাই।  কিন্তু ওই বাড়ির সব কটা ঘর তালাবদ্ধ পেয়ে ফিরে এসেছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.রাশিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি রাতেই ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ঘর তালাবদ্ধ পেয়ে তারা কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

 

এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ