আজকের শিরোনাম :

ফেনী-৩ আসনে আপেল-নোঙ্গর প্রতীকে পিতা পুত্রের লড়াই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫১

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসনে আপেল-নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা করছে পিতা- পুত্র। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে দুই বারের মনোনীত প্রার্থী  যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য আবুল বাশার এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দলীয় প্রধানের হুশিয়ারী উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আপেল প্রতীকে নিয়ে।

একই আসনে তার পুত্র ইশতিয়াক আহমদ সৈকতও নোঙ্গর প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।পিতা-পুত্রের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আলোচনা সমালোচনা চলছে পুরো নির্বাচনী এলাকায়।

যাচাই-বাছাই পর্বে উর্ত্তীণ হওয়ার পর গতকাল সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্ধের দিনে জেলা রিটার্নিং অফিসার  মো. ওয়াহিদুজ্জামানের কাছ থেকে আবুল বাশারের পক্ষে আপেল প্রতীক সংগ্রহ করনে দাগনভূঞার পৌর কাউন্সিলর মনরিুজ্জামান সবুজ।অন্যদেিক তার ছেলে প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমদ সৈকত নিজে উপস্থিত থেকে নোঙ্গর প্রতীক সংগ্রহ করেন।

প্রতীক সংগ্রহকালে গণমাধ্যম কর্মীদের ইশতিয়াক আহমদ সৈকত বলেন,আমার পিতা আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় ফেনী-৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণ হতাশ। জনগনের অনুভুতির সাথে একাত্বতা জানাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতার করছি।শেষ পর্যন্ত জনগনকে সাথে নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকবো।

ওমরা হজ্ব পালনে সৌদি আরবে অবস্থান করায় আবুল বাশারের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি তবে তার পক্ষে দাগনভুঞা পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান সবুজ বলেন, দল তার প্রতি অবিচার করেছে, তিনি গত দশ বছর আসনটির দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের জন্য কাজ করে গেছে।দলীয় নেতাকর্মীরা আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত কিছুতে মানতে পারছেনা।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল বাশার আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে আসনটিতে ৯৪ হাজার ভোট পেয়ে বিএনপি প্রার্থী মরহুম মোশারফ হোসেনের কাছে পরাজিত হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তাকে পুনরায় আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করলেও টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।ভবিষ্যতে মুল্যায়ন করা হবে দলীয় প্রদানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তিনি সেসময় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে।

গতবারের মতো এবারও আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে জাতীয় পার্টি ওয়ান ইলেভিনের অন্যতম কুশীলব সাবেক সেনাকর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রদান করে।আওয়ামীলীগের অন্য মনোনয়নবঞ্চিতরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেও দলীয় প্রধানের হুশিয়ারী ও মুল্যায়নের আশ্বাস উপেক্ষা করে আবুল বাশার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছে।
 

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ