আজকের শিরোনাম :

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে লালপুরে খামার শ্রমিকদের মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:০৯


নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের আটটি কৃষি খামারের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে চলমান আন্দোলনের ফসল হিসেবে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হলেও আবারো নতুনভাবে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

খামার শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি করা হলেও তা স্থানীয় সাধারণ শ্রমিক ও সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরির তুলনায় অনেক কম। ফলে তাদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করে পুনঃ নির্ধারণের দাবিতে আবারো আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকরা।

আজ রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকালে লালপুর উপজেলার গোবিন্দপুর কৃষি খামারে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শ্রমিকরা। এর আগে গত সোমবার আটটি কৃষি খামারের দৈনিক শ্রমিক ঐক্য কমিটির পক্ষ থেকে সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে একই দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক ঐক্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডব্লিউ শামসুল আলম বিপ্লব জানান, বিভিন্ন সময়ের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় গ্রাম গঞ্জে ও সরকারি কৃষি খামারের মজুরির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মুজুরি বৃদ্ধির একটি সুপারিশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে পাঠান। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের খামার শ্রমিকদের মজুরি পুননির্ধারণ সংক্রান্ত বোর্ডের সভায় দৈনিক হাজিরা পুননির্ধারণ করা হয়। এতে হাল্কা কাজের জন্য প্রতিদিন ২০০ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা এবং ভারি কাজের জন্য ২১০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ মজুরি বৃদ্ধিতেও শ্রমিক সন্তোষ ফিরে নি। ফলে আবারো এ নিয়ে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কৃষি কাজে কর্মরত শ্রমিকদরে মজুরির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার ঘোষিত সর্বনিম্ন মজুরি প্রদানের দাবি করা হয়।

আন্দোলনকারী আট খামারগুলি হলো লোকমাপুর কৃষ্ণা কৃষি খামার, নন্দা কৃষি খামার, বড়াল কৃষি খামার, ভবানীপুর কৃষি খামার, মুলাডুলি কৃষি খামার, নরেন্দ্রপুর কৃষি খামার, গোবিন্দপুর কৃষি খামার ও বীজ বর্ধণ কৃষি খামার।

এ ব্যাপারে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের জিএম (খামার) কৃষিবিদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, কর্পোরেশন আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের একবার মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী বছরে আবারো মজুরি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/মোয়াজ্জেম হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ