আজকের শিরোনাম :

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দূষিত ময়লার গন্ধে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৯

ময়মনসিংহের ভালুকার অংশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়কের পাশে ময়লার স্তু‘প।

জেলার প্রবেশদার উপজেলার সিমান্ত নাসিরগ্লাস হতে ভালুকা ব্রীজ পর্যন্ত ফাকাজায়গা গুলোতে ময়লার ¯ুÍপ। ‘নাক চেপে ধরে এসব এলাকায় পথ চলতে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। নাক ছাড়লেই দুর্গন্ধে পেট ফেঁপে যায়। ওই টুকু রাস্তা অতিক্রম করা মানেই জীবন হাতে নিয়ে যাওয়া’। 

এমন মন্তব্য একজনের নয়, হাজার হাজার স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ পথচারী গণমানুষের। বিশেষ করে যারা ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে যাতায়ত করেন। পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার হবিরবাড়ী, মাস্টারবাড়ী, আমতলী, সিডষ্টোর বাজার, মেহেরাবাড়ী উপজেলা সিমান্ত থেকে ভালুকা ব্রীজ পর্যন্ত ফাকা জায়গা গুলোতে মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য ফেলা হয়। অনেক বছর ধরে ওই এলাকা গুলোতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা আর বর্জ্যেরে উৎকৃষ্ট দুর্গন্ধ আর বিপন্ন পরিবেশের কারণে ওই রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরছে।

প্রতিদিন রিক্সা, ভ্যানগাড়ী ও ট্রাকে করে বিভিন্ন বাজারের অলিগলি ও বাসাবাড়ী থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্যগুলো সেখানে ফেলা হচ্ছে। ভোর থেকে দুপুর ও রাতের আঁধারে এসব বর্জ্য ফেলার সময় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হয়ে পড়ে। কাকপাখিরা সেখান থেকে উচ্ছিষ্ট নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় চলাচলকারী ছাত্র-ছাত্রী, জনসাধারণ ও যানবাহনের ওপর পড়ে। এতে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি পথচারীর শরীরের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। 

আশপাশের শতাধিক পরিবার একই অবস্থার মুখোমুখি বছরের পর বছর ধরে। সারা দিনই পশুপাখির উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তারা নাক চেপে ধরে কোনো রকমে পথ অতিক্রম করতে বাধ্য হচ্ছেন। দুর্গন্ধ সইতে না পেরে অনেকেই বমি করেন। একাধিক অভিভাবক জানান, পাশেই স্কুল ও মাদরাসার কয়েক’শ ছাত্র-ছাত্রী দুর্গন্ধের মধ্যেই লেখাপড়া করতে বাধ্য হচ্ছেন। কাছাকাছি স্কুল বা মাদ্রাসা থাকায় এবং দুর্গন্ধের কারণে শিশু-সন্তানদের স্কুলে লেখাপড়া করানো সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভুগী সাধারণ মানুষের দাবী।

এবিএন/জাহিদুল ইসলাম খান/গালিব/জসিম 


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ