আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় চার সাংবাদিক লাঞ্চিত, ১২ জনের নামে থানায় মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৪৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের হাতে স্থানীয় চার সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজকের সুনামগঞ্জ পত্রিকার মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি এমএ মান্নান বাদি হয়ে থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

লাঞ্চিত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক আজকের সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি এমএ মান্নান, দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার  প্রতিনিধি অমৃত সেমন্ত জ্যোতি, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের প্রতিনিধি আল-আমিন ও দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি সুরঞ্জন তালুকদার।

মধ্যনগর থানা যুবলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর থানা সদরে অনুষ্টিত নৌকার মিছিলের প্রকাশিত সংবাদে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নাম না থাকায় আজ বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ওই ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা সদরের বড় জামে মসজিদের সামনের সড়কে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায়।

এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের সুনামগঞ্জ পত্রিকার মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি এমএ মান্নান বাদি হয়ে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার মধ্যনগর থানা যুবলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর বাজারে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলের ওই সংবাদটি বুধবার স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশিত ওই সংবাদে মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের নাম না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন তিনি।

পরে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে স্থানীয় ওই চার সাংবাদিক মধ্যনগর সদরের বড় জামে মসজিদের সামনে অবস্থান করছে জেনে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন নেতকর্মি ক্ষোভে সেখানে গিয়ে অকথ্য ভাষায় ওই চার সাংবাদিককে গালমন্দ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে তাদের চশমা ও মোটরসাইকেলের চাবী কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

মধ্যনগর থানার ওসি মো. সেলিম নেওয়াজ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/মোঃ ইমাম হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ