আজকের শিরোনাম :

শিবগঞ্জে অধ্যক্ষ পদ দখল নিয়ে তুলকালাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৮

বগুড়ার শিবগঞ্জ এম.এইচ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ পদের দখল নিয়ে শুরু হয়েছে তুলকালাম। রুমের তালা ভেঙ্গে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের তিনদিনের মাথায় আবারো তাড়ানো হয়েছে অধ্যক্ষ নুর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভুত পরিস্হিতে মঙ্গলবার কলেজে পুলিশ এসে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছেন।

অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বহু বছর ধরে চলে আসা বিরোধ সুরাহা না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। এতে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চরম ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

কলেজ শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই বহিরাগত লোকদের নিয়ে অধ্যক্ষ কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি। এ সময় তিনি অধ্যক্ষ পদ ফিরে পেয়েছেন মর্মে আদালতের আদেশের কপি দেখান। এরপর তিনি অধ্যক্ষের অনার বোর্ডে তার নাম লেখান ও আলমারির তালা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বের করে নেন।
 
এ দিকে গত তিনদিন দায়িত্ব পালনের পর মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষকরাসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ আবারো জ্যোতিকে কলেজ থেকে বের করে দেন।
কলেজ শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বল্পতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গত ২২/০৭/২০১২ইং তারিখে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুড়ান্তভাবে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতিকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে তার বরখাস্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩২তম সিন্ডিকেট অধিবেশনে অনুমোদিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক এমপিও হতে তার নাম কর্তন করেন। এত বছর পর কোন যুক্তিতে তিনি কলেজে সন্ত্রাসী কায়দায় অধ্যক্ষের চেয়ারে বসলেন এমন প্রশ্ন রেখে কলেজের শিক্ষকরা সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।

এ বিষয়ে নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি বলেন, অন্যায়ভাবে আমাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশের পরেও সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
 
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ৮ আগষ্ট সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অত্র কলেজ সরকারি করণ করা হয়। বর্তমানে তার সরকারি চাকুরীর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এ কারণে কলেজের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সরকারি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 এবিএন/খালিদ হাসান/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ