আজকের শিরোনাম :

ভোলায় জোড়া খুনের বিচারের দাবিতে পোস্টারিং

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০১৮, ১৯:৫২

ভোলা, ২৩ মে, এবিনিউজ : ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনয়নে গত প্রায়  দশ দিন  আগে সংঘটিত আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও এখনো ধরা পড়েনি মূল অভিযুক্ত মামুন ও তার সহযোগিরা। এতে করে নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পুলিশ বলছে, জোড়া খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মুল অভিযুক্ত মামুন ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতদের স্বজন বলছে, জোড়া খুনের ঘটনা  দশ দিন পার হয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত মামুন ও তার সহযোগিরা এখনো ধরা পরেনি।

তারা আরো বলছে, পুলিশ ইচ্ছা করলে যে কোনো সময়ে মূল অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক তাদেরকে ফাঁসির দাবিতে পোস্টারিং করেছে এলাকাবাসী।

নিহত জিহাদের ভাই মোঃ জাকির হোসেন বলেন, জোড়া খুনের ঘটনা এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মুল অভিযুক্ত মামুন ও তার সহযোগিরা এখনো ধরা পরেনি।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে যে কোনো সময়ে মুল অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। জাকির প্রশ্ন করে বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে কি না পারে?

গত প্রায় দশ দিন পার হলেও আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযোগকারি ও তার দোসররা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক তাদেরকে ফাঁসির দাবিতে পোষ্টারিং করেছে এলাকাবাসী। ভোলা শহরের বিভিন্ন দেয়ালে এ পোষ্টার সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া সাংবাদিক দের  জানান, বাপ্তা ইউনিয়নের জোড়া খুনের ঘটনায়  মামুনের ছেলে শরিফ হোসেন ও আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনার মুল অভিযুক্ত মামুন ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৩ মে রবিবার দিবাগত রাতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের বড় ভাই মামুন ও তার সহযোগিরা ছোট ভাই মাসুম ও তার শ্যালক জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনার পরদিন সোমবার নিহত জাহিদের বাবা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে মো. মামুনুর রশিদকে প্রধান আসামী করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এবিএন/আদিল হোসেন তপু/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ