আজকের শিরোনাম :

মা হারা মানববন্ধনে অভিমানী আদিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১১

গৃহবধূ জোবাইর মোস্তফা চুমকি হত্যার বিচারের দাবিতে বোয়ালখালীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য রাখছিলেন। 

এ সময় নানা গোলাম মোস্তফার কোলে চড়ে মানব বন্ধনে আসে চুমকির পাঁচ মাস বয়সী শিশু সন্তান আদিল। বড্ড অভিমানী সে। চোখ বন্ধ করে মায়ের সাথে কাটানো মুর্হুতগুলোই হয়তো ভাবছিল সে। মানব বন্ধনে আদিলের উপস্থিতি সকলের চোখ অশ্রু সজল হয়ে ওঠে কয়েক মুর্হুতের জন্য।

বোয়ালখালী শিল্পী সংস্থা ও আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন অংশ গ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, বোয়ালখালী শিল্পী সংস্থার সভাপতি নাট্যকার হামিদুল হক শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউচুপ, আওয়ামী লীগ নেতা এমএস আলম, জসিম উদ্দিন, আসক বোয়ালখালী শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক কাজী তমিজ উদ্দিন, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মৃদুল বড়–য়া, নারী নেত্রী নার্গিস, সাজেদা বেগম সাজু, শ্রমিক লীগ নেতা মো. সেলিম, মো. কামাল উদ্দিন, যুবদল নেতা মো. সিরাজ, ছাত্রলীগ নেতা এসএম কাজেম, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সমীর চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক অধীর দে, নাট্যকার অশোক বড়–য়া, নিরঞ্জন চক্রবর্তী, হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা শামসু, রফিক প্রমুখ। 

গত ১৪ নভেম্বর পটিয়া উপজেলার কসুমপুরা বিনিহারা গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে জোবাইর মোস্তফা চুমকির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় চুমকির পিতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক পটিয়া থানাকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। 

নিহত চুমকি বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের কালাইয়ার হাট এলাকার গোলাম মোস্তাফার একমাত্র কন্যা। গত ২০১৫ সালে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা বিনিহারা গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে মো. খোরশেদ আলম জুয়েলের সাথে বিয়ে হয় চুমকির। তাদের সংসারে পাঁচ মাস বয়সী আদিলের জন্ম।

চুমকির পিতার অভিযোগ, চুমকিকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এছাড়া শাশুড়ির পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় চুমকিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। মামলার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে। অদৃশ্য কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।

এবিএন/রাজু দে/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ