আজকের শিরোনাম :

নির্বাচনী মাঠে বিএনপির সোবহান, এলাকায় ঢুকতে পারেননি স্বপন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এ আসনে কৌশল হিসেবে বিএনপি’র দু’জন প্রার্থীকে দলের মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। শেষপর্যন্ত একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আ. সোবহান এবং সাবেক এমপি সংস্কারপন্থী নেতা জহির উদ্দিন স্বপন। তারা দু’জনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সোবাহান দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় পৃথকভাবে তার মনোনয়নপত্র জমা দিলেও অপর মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন দীর্ঘদিন থেকে নিজ এলাকায় ঢুকতে না পেরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


সূত্র মতে, গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন বেলা এগারোটায় আগৈলঝাড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আ. সোবহান। একইদিন বেলা সাড়ে বারোটায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গৌরনদীর সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পরে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় তার সাথে আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা, সহ-সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, গৌরনদী উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আনোয়ার সাদাত তোতা, যুবদল নেতা রুহুল আমিন ও বেল্লাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান কেন্দ্র কমিটি গঠন থেকে শুরু করে নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে জহির উদ্দিন স্বপন দীর্ঘদিন থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে না পেরে অতিগোপনে ঢাকা থেকে কতিপয় অনুসারীদের নিয়ে বরিশালে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করে পুনরায় ঢাকায় চলে গেছেন।


বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী বলেন, যে নেতা নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে ভয় পায়, যে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তাকে দিয়ে আর যাই হোক দলের ক্লান্তিলগ্নের নির্বাচনী বৈতরণী পার করা সম্ভব নয়। তৃণমূল নেতারা আরও জানান, ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েই দলের দুর্দিনের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে একসময়ের বাম নেতা জহির উদ্দিন স্বপন ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন। পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেনের সময় নিজের সকল অপকর্ম আড়াল করতে তিনি জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রভাবশালী সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে স্বপন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় একাধিকবার তাকে নিজ এলাকায় প্রতিহত করা হয়েছে।


বিএনপি নেতারা আরও জানান, দীর্ঘদিন পর দলের ক্লান্তি লগ্নে জহির উদ্দিন স্বপন দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার পর দু’জন প্রার্থীর মধ্যে স্বপনকে ড্যামি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। এ খবর তৃণমূলে ছড়িয়ে পরলে নেতাকর্মীরা জহির উদ্দিন স্বপনকে নিজ এলাকায় প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়ায় গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায়  এলাকায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে পারেননি। তাদের দাবি, দলের সাথে বেঈমানী করা স্বপনকে তারা কোনদিনই মেনে নেবেন না।


এবিএন/অপূর্ব লাল সরকার/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ