আজকের শিরোনাম :

রাউজানে মাঠে নেই বিএনপি : প্রার্থী পেয়ে উল্লাস নৌকার কর্মী-সমর্থকদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২৫

অনেকটা প্রতিপক্ষমুক্ত পরিবেশে এবার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম-৬ নির্বাচনী আসন রাউজানের আওয়ামীলীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এই আসনের তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে পঞ্চমবারের মত নির্বাচন করছেন।

 আগের নির্বাচন গুলোতে তাকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করে জয়ী হতে হয়। এবার কিন্তু তিনি অনেকটা নির্বাচনী প্রতিপক্ষমুক্ত। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে ও সাধারণ মানুষের সাথে বথা বলে ধারণা পাওয়া যায়, এই আসনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র অবস্থান একদম নেই বললেই চলে।

সারা দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উৎসবমূখ পরিবেশে প্রার্থীদের নিয়ে হৈহুল্লুর পরিবেশ বিরাজমান থাকলেও রাউজান নির্বাচনী আসনে বিএনপি’র ধানের শীষের পক্ষে কথা বলবেন এমন কর্মী সমর্থক পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুসারে এই নির্বাচনী আসন থেকে ধানের শীষে নির্বাচন করার জন্য কয়েকজন বিএনপি নেতা দলিয় ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে এই পর্যন্ত কেউ নির্বাচনী এলাকায় আসেননি।

স্থানীয় জনসাধারণ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ২০০১ সালের পূর্ব সময় পর্যন্ত রাউজানের এই আসনটি আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া ছিল। ১৯৯৬ সালে দলটিতে ফজলে করিম চৌধুরী যোগদিয়ে প্রথমবার নির্বাচন করে হেরেছিলেন প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থীর কাছে। এরপর থেকে তার মেধা ও রাজনৈতিক দুদর্শিতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী তিন মেয়াদে সংসদ নির্বাচনী নৌকা নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমে জয় লাভ করেন। তার মাধ্যমে আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া হয়ে থাকা রাউজানের আসনটি উদ্ধার হয়।

জানা যায়, নৌকার প্রার্থী ৯৬ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে এসে টানা ২৩ বছর রাউজানের অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন। সমস্যা সম্ভাবনা যা দেখেছেন যেখানে যা করার প্রয়োজন সব কাজই তিনি করে ফেলেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তিনি রাউজানের উন্নয়নে এই পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। নিজ উপজেলাকে সাজিয়েছেন নিজের মনে রঙে। রাউজানের মানুষ মনে করেন রাউজান এখন গ্রীণ, ক্লিন ও পিংক উপজেলা।

এলাকার সচেতন জনসাধারণের মধ্যে অনেকেই মনে করেন ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র রাজনৈতিক মেধা কাজে লাগিয়ে তিনি নিজ এলাকার মানুষকে তাঁর মনের স্থানে টানতে পেরেছেন, তিনি এলাকার ছোট-বড় সবার প্রিয় এমপি ফজলে করিম হিসবে ব্যাপক পরিচিত। একজন নির্বাচিত এমপি কিভাবে এলাকাকে বদলে দিতে পারে সেটি তিনি সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে দিয়ে তাদের মধ্যে আস্তা সৃষ্টি করতে পেরেছেন।

আগে বিএনপি রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন এক দায়িত্বশীল নেতা তার নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে বলেছেন রাজনৈতিক আদর্শের দৃষ্টিকোণ থেকে যারা আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করে সেই দলিয় আদর্শের দৃষ্টিভঙ্গির লোক এখন রাউজানে নেই বললেই চলে।

কট্টরপন্থী যারা রয়েছে তাদের অবস্থানও রাউজানে নেই। তার মতে সাধারণ মানুষ চায় এলাকায় শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে। এই পরিবেশ শত ভাগ নিশ্চিত করেছেন ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এতেই সাধারণ মানুষ অনেক বেশি খুশি। এখন ধর্মবর্ণ নিবিশেষে রাউজানের মানুষ তার উপর আস্তাশীল। রাউজানের মানুষ এখন উন্নয়ন ও  শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে নেতা ফজলে করিমকে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছে।  

তিনি মনে করেন রাউজানের এই পরিবেশে ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অন্য কোনো প্রার্থী নির্বাচনে নামলেও তারা নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় কর্মী সমর্থকও পাবে না। আর কট্টর পন্থী যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদের নিতে যাবেন এমন সম্ভাবনা কম। এই উপজেলার সাধারণ মানুষ যারা তাদের অনেকরই অতীত ধারণা ছিল নির্বাচিত এমপি’রা সংসদে গিয়ে এলাকার মানুষের জন্য যা কিছু আদায় করতে পারবেন, শুধু সেটুকু করা ছাড়া তাদের অন্য কোনো করণীয় থাকে না। এখন সাধারণ মানুষের মাঝে থাকা এই ভুল ভেঙ্গে দিয়েছেন ২৩ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে থাকা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের ওই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে প্রমান করেছেন একজন নির্বাচিত এমপি সঠিক ভাবে কাজ করলে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কি করতে পারেন, রাউজানে প্রতিটি এলাকায় তাঁর উন্নয়ন এখন সব কালের সেরা উন্নয়ন করেছেন তিনি, তিনি ছাড়া আর অন্য কোন প্রার্থী যোগ্যতম মনে করছেনা, সাধারণ ভোটার তাঁদের একমাত্র প্রার্থী মনে করছেন ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজানে টানা ১০ বছরের উন্নয়নে তিনি ছাড়া আর কোনো বিকল্প যোগ্য মানুষ মনে করছেনা, তিনিই সবার প্রিয় এমপি।
 

এবিএন/রাজীব/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ