মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৮
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে এক স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৬ টুকরা করে হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে চারজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন ও সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন এবং খালাসপ্রাপ্ত একজনের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিক এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রুবেল, সজীব ও আকিবুল। এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে শরীফুলকে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুলতান ও সজীব পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাইরের ধলা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায় বাস্তা গ্রামের সুলতানের বাড়িতে।
এরপর জহিরুল রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ ওই দিন বিকালে সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তল্লাশি করে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ জহিরুলের মোবাইলের দুটি সিমকার্ড, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রুব্যসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
নিখোঁজের দুই দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুলতানের বাড়ি সংলগ্ন প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জহিরুলের গলা ও হাত পা বিচ্ছিন্ন ৫ টুকরা লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা শেখ খোকন মিয়া আটজনকে বাদী করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার মূল আসামি সুলতানকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে গত ২০১৭ সালে ৪ জুন মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার, ও আসামিপক্ষে সাইফুল ইসলামসহ সাতজন।
এবিএন/সোহেল রানা খান/জসিম/তোহা
আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন ও সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন এবং খালাসপ্রাপ্ত একজনের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিক এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রুবেল, সজীব ও আকিবুল। এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে শরীফুলকে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুলতান ও সজীব পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাইরের ধলা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায় বাস্তা গ্রামের সুলতানের বাড়িতে।
এরপর জহিরুল রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ ওই দিন বিকালে সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তল্লাশি করে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ জহিরুলের মোবাইলের দুটি সিমকার্ড, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রুব্যসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
নিখোঁজের দুই দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুলতানের বাড়ি সংলগ্ন প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জহিরুলের গলা ও হাত পা বিচ্ছিন্ন ৫ টুকরা লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা শেখ খোকন মিয়া আটজনকে বাদী করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার মূল আসামি সুলতানকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে গত ২০১৭ সালে ৪ জুন মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার, ও আসামিপক্ষে সাইফুল ইসলামসহ সাতজন।
এবিএন/সোহেল রানা খান/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ