মানিকগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে হামলায় আহত ১২
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৩
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দেড়গ্রাম এলাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কনের বাবা, ভাই ও বরযাত্রীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে কনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
হামলার সময় কনের গলার হার ও নগদ টাকাও লুট হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শাকিল নামের স্থানীয় এক যুবকের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়।
কনের চাচা সোহরাব ব্যাপারী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ভাতিজি নাসরিনের বিয়ে উপলক্ষ্যে বরযাত্রীরা এসে খাবার খাচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশী শাকিলের নেতৃত্বে মোকলেস, সাদ্দাম, সাদী, সাদেক, রাকিব, সোহান, সোলাইমান, পাখি, রুবেল, শাওন, হাকিম, হানিফ, সফিক, মহিদুলসহ আরও ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ডেকরেটরের চেয়ার টেবিল ও গেট ভাঙচুর করে। ফেলে দেয় রান্না করা খাবার। এ সময় বাধা দিতে গেলে কনের ভাই, বাবা ও বারযাত্রীদের ব্যাপক মারধর করে। হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়। হামলাকারীরা কনের গলার তিন ভরি ওজনের সোনার গয়না, ভাইয়ে কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে দুজনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কনের চাচা আরও জানান, ঘটনার পর মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশ আসে বিয়ে বাড়িতে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাতিজি নাসরিনকে ধামরাই উপজেলার গোয়ারিয়া গ্রামে সোরহাব ব্যাপারীর ছেলে সজিবের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার আসামি সাদী মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে।
স্থানীয় জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার শাকিল মোটরসাইকেল নিয়ে বিয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ে বাড়ির গেটের পর্দার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় কনে পক্ষের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বরযাত্রীরা এলে শাকিল তার বন্ধুদের নিয়ে কনের বাড়িতে হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা কাজটা ঠিক করেনি। এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুজ্জামান জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ