মেলান্দহে সোলার গ্রাহক হয়রানির মামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৫৩
জামালপুরের মেলান্দহে সোলার প্যানেল গ্রাহক হয়রানির মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ঘোষেরপাড়ায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের বিরুদ্বে এমন ঘটনায় এলাকাবাসি ফুসে ওঠেছে।
জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে চরাঞ্চলে মানুষের জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সোলার স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। রহিম আফরোজ কোম্পানীর সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্পের আওতায় রুরাল সার্ভিস ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পায়। বর্তমানে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার থেকে জেলার কার্যক্রম এবং সরিষাবাড়ি থেকে আঞ্চলিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২০১১ সালের দিকে এনজিও আরএসএফ ঘোষেরপাড়ায় সোলার বিতরণ শুরু করে। নিয়মানুযায়ী এনজিও এবং গ্রাহকদের মাঝে ৫ বছরের গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের ওয়ারেন্টি এবং মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধের চুক্তিতে সোলার বিতরণ কার্যক্রম করে। ৩ বছরের ওয়ারেন্টি সময়ের মধ্যে এই কিস্তির টাকা আরএসএফ’র মাঠকর্মীরা গ্রাহকের বাড়িতে এসে টাকা উত্তোলন করার কথা। প্রথম অবস্থায় বিতরণকৃত সোলারের সার্ভিস ভাল দেয়ায় ক্রমেই গ্রাহক চাহিদা বাড়তে থাকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের পর থেকে এনজিওটি সেবার নামে ত্রুটিপূর্ণ সোলার প্যানেল বিতরণ করেছে। এরপরও নিয়মিত কিস্তির টাকা প্রদান করে আসছিলেন গ্রাহকরা। কয়েক গ্রাহকের সোলার প্যানেলে ত্রুটি ধরা পড়লে মাঠকর্মীদের অবগত করেন।
কয়েকজনের ত্রুটিপূর্ণ প্যালেনের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেলেও আজোবধি তা ত্রুটিমুক্ত করে নি এনজিওটি। পক্ষান্তরে এনজিও’র মাঠকর্মীরা চাকরীচূত হবার পরও নতুন কর্মী নিয়োগ নাদেয়ায় কিস্তির টাকা উত্তোলনও বন্ধ হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, এনজিওটি গ্রাহকের কিস্তির টাকা উত্তোলন এবং সোলার প্যানেলের ত্রুটিমুক্ত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি। হঠাৎ করে ৭ জুলাই /১৮ তারিখে ৮৬ গ্রাহকের বিরুদ্বে উকিল নোটিশ প্রদান করে। আরএসএফ’র (নং-২৬৪(১) /১৮) মামলায় ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ৩ বছরের মেয়াদ পূর্তির আগেই অনেক গ্রাহক সমুদয় কিস্তির টাকা পরিশোধের পরও; তাদেরও বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ এমনকি মোকদ্দমাও দায়ের করা হয়েছে।
গ্রাহক (নং-জেএসআই-৮৫৫) বীরমুক্তিযোদ্ধা আ: লতিফ দারোগার ছেলে বেনজির আহম্মেদ (২৬) জানান-৩ বছরের ওয়ারেন্টির শর্তে ৩৪ হাজার ২শ’ টাকা মূল্যের ৬৫ ওয়াট সোলার প্যানেল নিয়েছি। নিয়মিত কিস্তি দিচ্ছি। বকেয়া আছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। ২ বছর যাবৎ কিস্তি নিতে এনজিও’র কোন কর্মী আসেন না। সমস্যার কথা জানানোর পরও দুই বছরের মাথায় ব্যাটারী চার্জার এবং কন্ট্রোলার খুলে নেয়ার পরও দিয়ে যায় নি। এমতাবস্থায় উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।
চরঘোষেরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি অবসর প্রাপ্ত বিডিআর আ: বারেক (৬৭) জানান- মসজিদের নামে (গ্রাহক নং-জেএসআই ২৮১) ৫বছরের গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের ওয়ারেন্টির শর্তে প্রায় ২৭ হাজার টাকায় ৫০ ওয়াটের সোলার নেয়া হয়। ১৫৬ সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা ছিল। জনগণের আর্থিক সহায়তায় ১৪ কিস্তিতেই সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছি। দ্বিতীয় বছরেই ব্যাটারি ডেমেজের কথা অফিসে জানানোর পরও কর্ণপাত করে নি। বরং উল্টো উকিল নোটিশ করেছে।
তারা মিয়ার স্ত্রী সানারা বেগম (৩৫) গ্রাহক (নং-৮৬৫) জানান- ১৩ হাজার টাকার মধ্যে সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর/১৪ পর্যন্ত ২১ কিস্তি পরিশোধ করেছি। ব্যাটারি ডেমেজের কথাও জানিয়েছি। সোলার ঠিক করে দেবার ভয়ে কিস্তি তোলা বাদ দিয়েছে। এরপরও মামলা দিয়ে হয়রানিকে নিন্দা-ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘোষেরপাড়ার কাজিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ জানান-২০১৩ সালে সোলার নেয়ার পর সমস্যা দেখা যায় নি। সমুদয় টাকা পরিশোধ করে মালিকানা সনদও নিয়েছেন। তারপরও ১২ হাজার ২শ’ ১৯ টাকা বকেয়া দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছে। ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান এ ব্যাপারে কেও অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা আরএসএফ’র ফিল্ড অপারেটর ম্যানেজার ফাহাদ উল আজিজ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-মামলার পর ২৫ জন এবং উকিল নোটিশের পর ২% গ্রাহক টাকা আদায় হয়েছে। এখনো ১০০/১৫০ গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন আছে। কিস্তির টাকা তোলার জন্য মাঠকর্মী নাযাওয়া এবং টাকা পরিশোধের পরও হয়রানিমূলক আইনী পদক্ষেপে বিষয়ে ম্যানেজার বলেন-হয়ত কোন মাঠকর্মী কিস্তির টাকা নেয়ার পরও অফিসে জমা দেন নি। কর্মী নিয়োগ নাদেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন-মাঠে যে পরিমাণ টাকা আছে তাতে কর্মীর বেতন ওঠে না। নিজেরাই চুক্তি ভঙ্গ করে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের বিষয়ে কোন সুদুত্তর দেন নি। এবিএন/মো: শাহ্ জামাল/জসিম/রাজ্জাক
চরঘোষেরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি অবসর প্রাপ্ত বিডিআর আ: বারেক (৬৭) জানান- মসজিদের নামে (গ্রাহক নং-জেএসআই ২৮১) ৫বছরের গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের ওয়ারেন্টির শর্তে প্রায় ২৭ হাজার টাকায় ৫০ ওয়াটের সোলার নেয়া হয়। ১৫৬ সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা ছিল। জনগণের আর্থিক সহায়তায় ১৪ কিস্তিতেই সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছি। দ্বিতীয় বছরেই ব্যাটারি ডেমেজের কথা অফিসে জানানোর পরও কর্ণপাত করে নি। বরং উল্টো উকিল নোটিশ করেছে।
তারা মিয়ার স্ত্রী সানারা বেগম (৩৫) গ্রাহক (নং-৮৬৫) জানান- ১৩ হাজার টাকার মধ্যে সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর/১৪ পর্যন্ত ২১ কিস্তি পরিশোধ করেছি। ব্যাটারি ডেমেজের কথাও জানিয়েছি। সোলার ঠিক করে দেবার ভয়ে কিস্তি তোলা বাদ দিয়েছে। এরপরও মামলা দিয়ে হয়রানিকে নিন্দা-ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘোষেরপাড়ার কাজিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ জানান-২০১৩ সালে সোলার নেয়ার পর সমস্যা দেখা যায় নি। সমুদয় টাকা পরিশোধ করে মালিকানা সনদও নিয়েছেন। তারপরও ১২ হাজার ২শ’ ১৯ টাকা বকেয়া দেখিয়ে মামলা দায়ের করেছে। ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান এ ব্যাপারে কেও অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা আরএসএফ’র ফিল্ড অপারেটর ম্যানেজার ফাহাদ উল আজিজ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-মামলার পর ২৫ জন এবং উকিল নোটিশের পর ২% গ্রাহক টাকা আদায় হয়েছে। এখনো ১০০/১৫০ গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন আছে। কিস্তির টাকা তোলার জন্য মাঠকর্মী নাযাওয়া এবং টাকা পরিশোধের পরও হয়রানিমূলক আইনী পদক্ষেপে বিষয়ে ম্যানেজার বলেন-হয়ত কোন মাঠকর্মী কিস্তির টাকা নেয়ার পরও অফিসে জমা দেন নি। কর্মী নিয়োগ নাদেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন-মাঠে যে পরিমাণ টাকা আছে তাতে কর্মীর বেতন ওঠে না। নিজেরাই চুক্তি ভঙ্গ করে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের বিষয়ে কোন সুদুত্তর দেন নি। এবিএন/মো: শাহ্ জামাল/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ