আজকের শিরোনাম :

পটিয়ায় গৃহবধূকে হত্যা : মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ২১:০২

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনিহারা গ্রামে গত ১৪ নভেম্বর রাত ৮টায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ হত্যার ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চাপিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে চুমকির পিতা গোলাম মোস্তফা পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত মামলাটি এফ আই আর  হিসেবে গ্রহন করার জন্য আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ পটিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত গত ১৮ নভেম্বর এ আদেশ দেয়ার পর পটিয়া থানা পুলিশ আজ (সোমবার) এফ আই আর গ্রহন করে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করেন।

আদালতে দেওয়া ফৌজদারী অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার কন্যা চুমকির সাথে পটিয়া উপজেলার বিনিনিহারা গ্রামের জাফর আহমদের পুত্র খোরশেদ আলমের সহিত বিগত ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে খোরশেদ আলম সহ শ্বাশুড়ী, ননদ ও জেঠা শ্বশুর মিলে চুমকির পরিবার থেকে বিভিন্ন যৌতুক দাবী করে আসছিল। অনেক সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে চুমকির বাবা তাদের যৌতুকের দাবী পূরণ করে।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারী মাসে চুমকির শ্বাশুড়ি হোসনে আরা বেগম পাকা ঘর নির্মাণের কথা বলে চুমকির বাবা থেকে ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা গ্রহন করে। গত ১৪ নভেম্বর রাতে চুমকিকে তার স্বামী, শ্বাশুড়ি, ননদ সহ ৬/৭ জন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ওড়না পেছিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ চুমকির লাশ উদ্ধার করে। পর দিন একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে পুলিশ চুমকির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

চুমকির বাবা পটিয়া আদালতের এডভোকেটস ক্লার্ক গোলাম মোস্তফা ৭ জনের বিরুদ্ধে  হত্যার অভিযোগ এনে পটিয়া থানায় মামলা রেকর্ডের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করলেও পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোঃ খোরশেদুল আলম জুয়েল (২৫), হোসনে আরা বেগম (৪৫), জেরিন আকতার (১৮), মো. মুছা (৫০), মোঃ এয়াকুব (৪০), আবদুল ছমদ (৩৮), মনিকা বেগম (৩৫) এ ৭ জনের বিরুদ্ধে ৪৫৬/১৮ ইং দায়ের করে। আদালত উক্ত ফৌজদারী অভিযোগ এফ আই আর হিসেবে গ্রহন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পটিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।

 

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ