বান্দরবানে ট্রাইকো কম্পোস সার ও মাটির স্বাস্থ্য প্রযুক্তি বিষয়ে মাঠ দিবস

বান্দরবানে ট্রাইকো কম্পোস সার ও মাটির উওম স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তি বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের চেমি ডলুপারা কুহালং ইউনিয়নে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম -ফ্রেজ প্রজেক্ট এনটিপি -২ এর আওতায় মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয় ।

 সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ওমর ফারুকের সভপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন। চেমি ডলু পারা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোরশিদা বেগম , সিআইজি সমিতির সভাপতি চাইউ গ্য মারমা সহ আরো অনেকে।

ভাল সার ও মাটির উওম স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তি ব্যাবহার করে কৃষকের দিন পাল্টাতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আর তারই ধারা বাহিকতায় কৃষিকদের ভাল ফসল উৎপাদনের লক্ষে তারা ভাল সার ও উওম মাটির ব্যাবহার সর্ম্পকে নানান রকম প্রশিক্ষন প্রদান করে আসছেন কৃষি বিভাগ।

 আজ মাঠ দিবসে কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তাগন কৃষকের ভাল ফসল উৎপাদনে হাতে কলমে নানা প্রশিক্ষন প্রদান করেন এবং কি করে বিনামূলে নিজেরা প্রত্যেকের বাড়িতে জৈবিক সার তৈরী করবেন তা সর্ম্পকে আলোকপাত করেন। কৃষি সম্প্রসারন অতিদপ্তর আশা করছেন তারা বান্দরবান জেলা ও প্রতিটি উপজেলার কৃষদের ভাগ্য উন্নয়নে চাবিকাটি হতে পারবেন কারন তারা মনে করেন কৃষক বাচঁলে দেশ বাচবে। তাই তাদের সকল সুখ দুখের ভাগিদার হতে চাই কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর ।

অতিথিরা মাঠ দিবসে আরো বলেন দেশ নের্এী শেখ হাসিনা সকল প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেদের বর্তমানে বিনামূল্যে বীজ , সার ও প্রশিক্ষণ প্রদান করছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ,কারন তিনি চান বাংলাদেশ একদিন সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তুরিত হোক যাতে আমরা গর্ভ করে বলতে পারি আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি ।

 মাঠ দিবসে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো.আলতাপ হোসেন কৃষকদের জানান জৈবিক পব্দতি অনুসারে সার তৈরী করে সে সার মাটিতে  প্রয়োগ করলে মাটি তার থেকে দ্বিগুন পুষ্টি পায় আর তা থেকে মাটির উর্ভরতা শক্তি বৃদ্ধি করে যা ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যাপক কার্যকরি। তাই প্রতি মাসে কৃষকদের জন্য কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নানান প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মাঠ দিবসের আয়োজন করে থাকে যাতে করে কৃষকদের সকল সমস্যা সমাধান করে তাদের সমস্যা নিরসনে পরামর্শ প্রদান করা যায় ।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ওমর ফারুক জানান, কৃষকরা হল দেশের শক্তি দেশ যতই উন্নতির দিকে যাক না কেন কৃষক যদি দিন রাত পরিশ্রম করে রৌদে পুড়ে ফসল উৎপাদন না করতো তাহলে আমাদের জীবন ধারনের জন্য বেঁছে থাকা কঠিন হয়ে পরতো । তাই এক জন কৃষককে অবশ্যই সম্মানের চোখে দেখতে হবে । আর তাই তাদের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি , আশা করছি প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এই বছর কৃষকরা ভাল ফসল ঘরে তুলবে ।

কৃষকরা অনান্য বছরের চেয়ে এই বছর ব্যাপক আশাবাদি যে তারা এই বছর ভাল ফসল তুলতে পারবে কারন তারা অনেক রকম প্রশিক্ষন গ্রহন করেছে যা তাদের অনান্য বছরের চেয়ে এই বছর ভাল ফসল উৎপাদনে সহয়তা করেছে। ভবিষ্যতে ও সকল ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাবে বলে জানান।

মাঠ দিবসে অংশ গ্রহন করা ডলু পাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ও  সিআইজি কৃষক কমিটির সভাপতি চাইউ গ্য মারমা জানান, যে আমরা এখন আগের তুলনায় অনেক সচেতন হয়েছি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আমরা আগে কি করে ভাল ফসল উৎপাদন করতে হয় তা জানতাম না কিন্তু বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহয়তায় আমরা ভাল ফসল উৎপাদন করতে সম্ভব হয়েছি ,তারা আমাদের নানান রকম প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন ,কি করে ভাল ফসল উৎপাদন করবো ,কি করে জৈবিক সার নিজের বাসায় বানাবো ,কি করে মাটির গুনাগুন ও পুষ্টি পরীক্ষা করবো ও ক্ষতিকারক পোকা কি করে দমন করবো আরো নানা কিছু । তাই আমরা সকল কৃষকগন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ ।

অতিথিরা আরো বলেন, বান্দরবানের মত সকল জেলার এই ধরনের কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায় তাহলে বাংলাদেশ খুব দ্রুত স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপন্তুরিত হবে আর তার জন্য সকলকে এক যোগে কাজ করে যাবার আহব্বান জানানো হয়।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/জসিম/তোহা