আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকের মুখে হাসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৫

অন্য যে কোন বছরের তুলনায় ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে আমন ধান চাষে উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আমন ধানের আবাদ।

আমন ধান আবাদের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ জুড়ে পাঁকা ধানের সোনালী শীষ বাতাশে দুলছে। কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পারকরছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে। বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ধান উড়ানো ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলাতে কম-বেশী আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে কৃষকের বাড়তি সেচ এর প্রয়োজন হয়নি। সারও কম লেগেছে। ফলে এক মন ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪শ থেকে ৫শ টাকা। আর বাজাকে একমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে ৯শ টাকা। ফলে কৃষক আমন ধান উৎপাদন করে লাভবান হয়েছে।

আদর্শ কৃষক মো. বক্তার হোসেন খান বলেন, ধানের ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভাল। সরকার যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তাহলে কৃষক বেশী লাভবান হবে, কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবে। তিনি আরও বলেন, কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে হলে সরকারকে অবশ্যই কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, আমন ধান আবাদে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হয়। কারণ আমন ধান উৎপাদনের ক্ষেতে কৃষককে বাড়তি সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সারও কম লাগে। আর সে কারণে আমরা কৃষকদের আমন ধান উৎপাদনে সার ও বীজ প্রনোদনা দিয়ে থাকি।

কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৬৯হাজার ৭৯৫ হেক্টোর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ মাত্রার চেয়ে ৩হাজার হেক্টোর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার তিবরণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, আমন ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। আমন ধান অল্প দিনের ফসল। আমন ধান উৎপাদনে চাষীদের বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে।


এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ