আজকের শিরোনাম :

জনপ্রিয় ইত্যাদি এবার শহীদ সিরাজ লেকের টানে তাহিরপুরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১৬

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত ঘেষা মেঘালয় পাহাড় সংলগ্ন শহীদ সিরাজ লেক (চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিতাক্ত খোয়ারী)টি আকর্শনীয় হয়ে উঠেছে দিন দিন।

এবার এই লেকে টানে আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্শনে জনপ্রিয় ইত্যাদির পরিচালক এবার তাহিরপুরে শহীদ সিরাজ লেকের পাড়েই ধারন করছেন বহুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্টান ইত্যাদি।

 মুক্তিযোদ্ধে শহীদ বীর সেনানীদের কবর আছে পাশেই আর নিজস্ব স্বকীয়তায় সবুজ বনানী,উচুঁ নিচু পাহাড়ী,টিলা ও মেঘালয় পাহাড় নিয়ে যেন এর সুন্দর্য আরো আকর্শনীয় করে তুলছে পর্যটকদের কাছে। আর এর সুন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এই লেকটির নাম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে দেখার আগ্রহ বাড়ছে। তেমনি সুর্ন্দয পিপাসুরা এই লেক সম্পর্কে জানতে ও সুন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে হাজার হাজার দর্শনাথী প্রতিদিন।

প্রথমে এখানে এসে পর্যটকগন নিজেরাই কেউ নিলাদ্রী লেক,কেউ বলছে বাংলার কাশ্মির আবার কেউ বলছে তাহিরপুর সীমান্ত লেক আর স্থানীয়রা বলছে পাথর কোয়ারী নামে বলে ভাইরাল করে। কিন্তু এই পাথর কোয়ারীটি সরকারী অফিস আদালতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে ও স্থানীয় লোকজনসহ সবাই জানে ও চিনে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিতাক্ত পাথর খোয়ারী হিসাবে।

 কিন্তু এই লেকের পাশের চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন বাংলা বীর সেনানীগন তাদের মধ্যে শহীদ সিরাজ অন্যতম। লেখ সংলগ্ন তার সমাধি দেখতে আসেন অনেক পর্যটকগন। তাই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী দাবী ইত্যাদিতে শহীদ সিরাজ নাম প্রচার করার। এছাড়াও তারা টাংগুয়ার হাওর,বারেকটিলা,যাদুকাটা নদীসহ উপজেলার বিভিন দর্শনীয় পর্যটন স্পট দেখার পাশা পাশি মেঘালয় পাহাড় সংলগ্ন এই লেকটি দেখতে হাজার হাজার লোকজন আসছে সুন্দর্য উপভোগ করতে।

 জানাযায়,এই লেকটি উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে মেঘালয় পাহাড় সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত।

সীমান্তবর্তী ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিতাক্ত এই খোয়ারীটি ১৯৪০সালে চুনাপাথর সংগ্রহ শুরু করে। এখানে চুনাপাথর সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নির্মিত আসাম বাংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানো হত। ১৯৪৭সালে দেশ ভাগের পর বিভিন্ন সমস্যা ও ব্যায় বৃদ্ধি দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এর সকল কার্যক্রম। পরে ১৯৬০সালে সিমেন্ট ফ্যাক্টরী চালু রাখার জন্য চুনা পাথরের প্রয়োজনে ভূমি জরিপ চালিয়ে সীমান্তবর্তী ট্যাকেরঘাট এলাকায় ৩২৭একর জায়গায় চুনাপাথরের সন্ধান পায় বিসিআইসি কতৃপক্ষ।

পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬সালে খনিজ পাথর প্রকল্পটি মাইনিংয়ের মাধ্যমে র্দীঘদিন পাথর উত্তোলন করে। পরবর্তীতে ১৯৯৬সালে এই প্রকল্পটি একটি লোকশানি প্রতিষ্টান হিসাবে প্রতিষ্টিত করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোয়ারী থেকে চুনাপাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এর পর এই গভীর কোয়ারীতে পানি জমতে থাকে একময় কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে উঠে এই কোয়ারীটি।

তবে দৃষ্টি নন্দন এই লেকটি (চুনাপাথর পরিতাক্ত কোয়ারী) সীমান্ত ঘের্ষা পাহাড় ও হাওর সংলগ্ন সুর্ন্দযে পরিপূর্ন হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন গঠছে প্রতিদিন। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকায় পর্যটকদের কাছে এর নিজস্ব সুন্দর্য অধরাই রয়েই যাচ্ছে।

 স্থানীয় এলাকাবাসী ও পর্যটকগন বলেন,মেঘালয় পাহাড় ঘের্রা এই সুন্দর্য সমৃদ্ধ স্থানটি সুন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এই সুন্দর্য সমৃদ্ধ লেকটির নিজস্ব গুন আছে যার জন্য সবাই চুনাপাথর কোয়ারী এক নামেই চিনত এখনও চিনে। সেই সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধের শহীদ বীর সেনানীদের কবর আছে পাশেই তাই গুনের সাথে মিল রেখে ও এলাকার পরিচিতির স্বার্থে শহীদ সিরাজ লেক নামটি এবার ইত্যাদিতে প্রচার করা হলে ভাল হয়। হানিফ সংকেত সাহেবের কাছে এই দাবী থাকবে সবার।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকতা পূনেন্দ্র দেব জানান,শহীদ সিরাজ লেক হিসাবে ইত্যাদিতে প্রচার হবে লেকটি। সেই ভাবে ইত্যাদিও কৃতপক্ষের অনুমতি নিয়েছে। অনেক পর্যটকগণ এখানে আসতে চাইলে নামের কারনে স্থানীয় লোকজনসহ সবাই লেকটির নাম বা স্থানটি বলে দিতে পারে। আর বর্ষায় নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে মটর সাইকেল চালকরা নামের বিভ্রান্তির শিকার হবে না পর্যটকরাও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে না। এলাকার যেমন পরিচিতি পাবে তেমনি সবার কাছে বুজতে ও গ্রহন যোগ্য হবে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,শহীদদের সম্মানের স্বার্থে ও এই এলাকার পরিচিতির জন্য ইত্যাদির সুনামধন্য পরিচালক হানিফ সংকেত সাহেব যদি উনার জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে ইত্যাদিতে শহীদ সিরাজ লেক নামটি বলে প্রচার করেন সবাই কৃতার্থ হবে।    


এবিএন/জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ