আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে অগ্নিকান্ড রোধে ভরসা মেয়াদোর্ত্তীর্ণ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩১

সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শপিং মলের দেওয়ালে টাঙানো প্রাণ বাঁচানোর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। সোনাগাজীতে আগুন লাগলে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, তার উদাহরণ ভুরি ভুরি। সম্প্রতি পৌরসভাস্থ মানিক মিয়া প্লাজায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর উপজেলায় অগ্নিকান্ডে জানমালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারী বেসরকারী অফিস, ভবনে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক। নিয়ম মেনে অনেক জাায়গায় যন্ত্র বসানো হলেও প্রশ্ন উঠেছে তার কার্যকারিতা নিয়েই।  

সরেজমিনে দেখো গেছে, বেশিরভাগ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রই মেয়াদোত্তীর্ণ।  আপদকালীন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা হিসাবে রাখা হয়েছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। কিন্তু সেগুলোতে নজরদারির কোন ব্যবস্থা নেই। বেশীরভাগ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সময়সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। যার ফলে যদি কোনও কারনে অগ্নিকান্ডের সুচনা হলেই যন্ত্রগুলো  কোনও কাজেই লাগবে না।

জানা যায়, কার্বন ডাই অক্সাইড ভর্তি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে লাগানো থাকে একটি হাতল। হঠাৎ আগুন লাগলে সেই হাতলে চাপ দিলেই তীব্র বেগে বেরিয়ে আসে গ্যাস। নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

সম্প্রতি সোনাগাজী পৌরসভাস্থ মানিক মিয়া প্লাজায় গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদোর্ত্তীর্ণ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষের সামনেও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখা যায়। যার মেয়াদ এ বছরের মে মাসের ১০ তারিখেই শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, মেয়াদোর্ত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার রোধে বার বার অভিযান চালিয়ে ও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল পারভেজ বিষয়টি প্রতিবেদকের মাধ্যমে অবহিত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ