আজকের শিরোনাম :

হবিগঞ্জে আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৪

আজ বাঙালির চিরায়িত নবান্ন উৎসবের প্রথম দিন। চারিদিকে শুধু সোনালী আর সবুজের সমারোহ। চলছে ধানকাটা। কৃষকের চোখে মুখে আনন্দ। চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। সব সমস্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলা করে কৃষকরা এখন অনেকটাই স্বস্তিবোধ করছেন। তাদের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। দুশ্চিন্তা ছাপিয়ে ফিরে আসছে স্বস্তি।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনমোহন জানান রোগ বালাই ও পোকার উপদ্রব থেকে ফসলকে রক্ষার নিমিত্তে উপ-সহকারীরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও করনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি জানান অক্টোবর মাসে রোপা আমনের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ কেননা এ সময় বাদাম গাছ ফড়িং, নাল এবং ছত্রাক রোগ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে, সার ও বীজ দিয়েছে। ফলে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর উৎসাহ ও সুযোগ পাচ্ছে।

বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামের গোলাম রব্বানী জানান, এবার তাদের আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ হাজার ২শত ১০ হেক্টর ছাড়িয়ে ৭৮ হাজার ১শত ৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লক্ষ ১৭ হাজার ২শত ৪৩ মেট্রিক টন।

কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, পরিবেশ অনুকূল থাকলে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন সম্ভব হবে।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, রোপা আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, ভরা মৌসুমে আশ্বিনের শেষে ঘূর্ণিঝড় তিতলীর প্রভাবের কারণে। পক্ষান্তরে তিতলী রোপা আমনের জন্য আশির্বাদ হয়েছে।

পূর্ব অনন্তপুরের কৃষক ছন্দু মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে ধানের জমিতে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হয়েছে। তবে শেষের দিকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানের গাছ তেজ বেড়ে গিয়ে ধানগুলোর শীর্ষ আশানুরূপ ভালো হয়েছে। এ থেকে ফলন ভালো হয়েছে।

এড়ালিয়া গ্রামের কৃষক সফিক জানান, ফসল উৎপাদনের পর বিক্রয় মূল্য নিয়ে বেশী দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। কাঙ্খিত মূল্য না পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো এবং কৃষকদের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যাবে। তাই সরকারি ভাবে সঠিক সময়ে ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে।

এবিএন/নুরুজ্জামান ভূইয়া/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ