বাঁশখালীর চা বাগান দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৫২
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বৈলগাঁও চা বাগান দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ক্লোন চা উৎপাদন করায় এই বাগানটি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। চা বাগানটির আয়তন ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর।
চলতি বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে চা পাতা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্র রয়েছে সে অনুসারে পাতা উৎপাদন কঠিন হচ্ছে বলে বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়। তাছাড়া কম বৃষ্টিপাত হওয়াতে চা পাতাতে নানা ধরনের রোগ বালাই দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে এ চা-বাগানে প্রায় ৮ শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। চলতি বছরে ৩ লাখ ৫৫ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে চা-পাতা তোলা বন্ধ রাখা হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে চা শ্রমিকরা তাদের কর্মঘণ্টা অনুসারে ২৫ কেজি করে চা পাতা তোলে থাকেন। চা বাগানের অভ্যন্তরে ৮ শতাধিক কর্মচারী স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
চা-বাগান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিদিন বাগানের সর্বত্র আধুনিক উপায়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কচি পাতা গজে উঠছে। বর্তমান শীত মৌসুম আসতে না আসতেই এই চা-বাগানে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন বাগানের নতুন কচি পাতা গজে উঠার দৃশ্য ও সবুজ সমারহ দেখার জন্য।
বাঁশখালীর বৈলগাঁও পুকুরিয়া সরকার চা বাগানের ম্যানেজার আবুল বাশার জানান, এই বিশাল চা বাগানের চা পাতা সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। যার ফলে দেশের যত সব চা বাগান রয়েছে, তারমধ্যে বাঁশখালীর চা বাগানের পাতা মানের দিক দিয়ে অন্যতম।
তিনি বলেন, চা উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পায় বলে জানান। এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/রাজ্জাক
তিনি বলেন, চা উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পায় বলে জানান। এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ