কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনার পরও কমেনি হাইব্রীড ধানবীজের দাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৮ | আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:১৩
বাগেরহাটের ‘চিতলমারীতে হাইব্রীড ধানবীজের তীব্র সংকট, মজুদ করে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ’-শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গত মঙ্গল ও বুধবার এ উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও জেলা বাজার কর্মকর্তা বীজের দোকানে দোকানে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং বীজ বিক্রি সংক্রান্ত মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির অতি মূনফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন।
কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতেই বিশেষ করে আলোড়ন ও হীরা-২ ধানবীজ সংকট দেখা দেওয়ায় এ অঞ্চলের ৩০ হাজার একর জমি’র চাষাবাদ নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেশী দামে হাইব্রীড ধানবীজ বিক্রি করছেন। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের পর এ উপজেলায় গত ২ দিন ধরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও জেলা বাজার কর্মকর্তা বীজের দোকানে দোকানে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সেই সাথে তারা হাইব্রীড ধানবীজসহ কৃষি বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি সংক্রান্ত মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেন।
আজ বুধবার হাটেরদিন দুপুরে ধান চাষিরা আরও জানান, বাজারে এখন আলোড়ন ধানবীজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর হীরা-২ ধানের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫০ টাকা লেখা থাকলেও তা এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা দরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ধানবীজ ব্যবসায়ী, ডিলার ও কোম্পানী প্রতিনিধিরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ব্লকের সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে ২৮ হাজার ৬৬০ একর জমিতে হাইব্রিড, উফশী ৬৫২ ও স্থানীয় জাতের ধান ১১৮ একর জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বীজ সংক্রান্ত অনিয়মের খবর শোনার পর বাজারে দোকানে দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অনিয়ম-দূর্নীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বাগেরহাট জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান মুঠোফোনে জানান, হাইব্রীড ধানবীজ ও কৃষি উপকরণ বিক্রি সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও অনিয়ম করে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কৃষি বিপনন আইন-২০১৮ (ধারা) মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/রাজ্জাক
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ধানবীজ ব্যবসায়ী, ডিলার ও কোম্পানী প্রতিনিধিরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ব্লকের সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে ২৮ হাজার ৬৬০ একর জমিতে হাইব্রিড, উফশী ৬৫২ ও স্থানীয় জাতের ধান ১১৮ একর জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বীজ সংক্রান্ত অনিয়মের খবর শোনার পর বাজারে দোকানে দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অনিয়ম-দূর্নীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বাগেরহাট জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান মুঠোফোনে জানান, হাইব্রীড ধানবীজ ও কৃষি উপকরণ বিক্রি সংক্রান্ত ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও অনিয়ম করে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কৃষি বিপনন আইন-২০১৮ (ধারা) মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ