ভালুকায় শিশু ফারজানা হত্যার আসামী আটক
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৩৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ফারজানা(৬) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন প্রতিবেশী শফিকুল(৩০)। আজ সোমবার দুপুরে শফিকুল আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে গত শনিবার ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযানের মাধ্যমে শফিকুলকে গ্রেফতার করে।
গত শুক্রবার রাতে ভালুকা উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের একটি বাঁশঝার থেকে গলায় লুঙ্গির অংশবিশেষ ও গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ফারজানার (৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ফারজানাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হয়।
তবে গতকাল পুলিশ জানায় ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর জানা যাবে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফারজানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে করে শফিকুলের হত্যার কথা স্বীকার করার বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ মোঃ আবিদ হোসেন জানান,গত শুক্রবার প্রতিবেশী এক বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু ফারজানা। পরে দুপর পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় পরিবার তাকে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। রাত ৯টায় গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফারজানার বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলা করেন। ওই দিনই ডিবি ও ভালুকা থানা পুলিশ সন্দেহজনক শফিকুলকে আটক করে। পরে জিঙ্গাসাবাদে শফিকুল ফারজানাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
পুলিশ আরও জানায়, প্রথমে ফারজানাকে ধর্ষণের পর হত্যার ধারণা করা হলেও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পারিবারিক বিরোধের কারণে শফিকুল ফারজানাকে হত্যা করেছে। ফারজানার বাবার সঙ্গে শফিকুলের স্বজনদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। সোমবার দুপুরে শফিকুলকে ময়মনসিংহের একটি আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন।
এবিএন/জাহিদুল ইসলাম খান/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ