চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাত মাস ধরে তীব্র পানি সংকটে

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত মাস ধরে তীব্র পানির সংকট চলছে। সেই সাথে অকেজো হয়ে পড়ে আছে আধুনিক এক্সরে মেশিনটি।  এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রুগি ও রুগির স্বজনেরা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর রি-প্রেজেন্টেটিভ ও দালালদের দৌরাত্মে চিকিৎসারত রুগীরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের লো-ভোল্টেসের কারনে গত তিন বছর ধরে বন্ধ আছে এক্সরে মেশিনটি। সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করা হচ্ছে। এখানে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বরাদ্দ হয়নি নতুন জনবল।  অথচ উন্নয়ন মেলা-২০১৮ সালে এই হাসপাতাল উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  ভুক্তভোগীরা হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগির স্বজন টিটব বিশ্বাস, দেবাশিষ মজুমদারসহ অনেকে জানান, এ হাসপাতালে পানির তীব্র সংকট চলছে। এ সমস্যা দু’একদিনের নয়। পানরি জন্য এখানে সুস্থ্য মানুষ এসেও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।  

হাসপাতালের একটি সুত্র জানায়, হাসপাতালে অপারেশনের রুগী এলে দালালদের দৌরাত্ব বেড়ে যায়। তাই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর রি-প্রেজেন্টেটিভ ও দালালদের দৌরাত্মে চিকিৎসারত রুগীরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের সমস্যা ও উন্নয়নের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মাটির নিচেয় পানির স্তর কমে যাওয়ার কারণে অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু হওয়া পানির অভাব থাকে বর্ষাকাল পর্যন্ত। ’

এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/রাজ্জাক