আজকের শিরোনাম :

আলাল হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক রবিবার

২১ বছর ধরে ছেলে হত্যার বিচারের অপেক্ষায় মা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫১

সিলেটে বহুল আলোচিত স্কুল ছাত্র আলাল (৯) হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের তারিখ আগামী রোববার ধার্য্য করেছেন আদালত।  সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভূইঞা যুক্তিতর্কের এ দিন ধার্য্য করেন।

 আলাল সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ঘোপাল গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। সে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

এদিকে দীর্ঘ ২১ বছর পর ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখা যাওয়ার আশায় প্রহর গুনছেন মা ও স্বজনেরা।  তবে বাদি পক্ষরে আইনজীবী এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহিদুল জানিয়েছেন।  এবার আর রায় পেছানো বা কাল ক্ষেপণের খুব একটা সুযোগ নেই।  স্বাভাবিক নিয়মে আদালত রায়ের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবেন।

জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন স্কুল ছাত্র আলাল। দীর্ঘ ৬ বছর ২০০৩ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।

 মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলমান মামলা নং দায়রা ১৪২৪/২০১৩। এ মামলায় চার্জশীটভূক্ত ১৩ আসামীর মধ্যে আব্দুল মানিক ও আব্দুল জলিল মারা গেছেন। বাকী ১১ আসামী হচ্ছেন আলী আশরাফ ওরফে আলী, হেকিম আলী, সিরাজ, আনেয়ার হোসেন, আলী আহমদ, শায়েস্তা মিয়া, ছাবির আব্দুর রহমান ওরফে ফকির, জমসিদ আলী, মকবুল ও সুহেল। এদের মধ্যে মকবুল ও সুহেল আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।

আলোচিত এ মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষী দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাক্ষ্য প্রদান করলেও সরকারি সাক্ষীর জন্য আটকে থাকে মামলার কার্যক্রম। এর পর কেটে যায় ১৮ বছর। সরকারি সাক্ষী হাজির করাতে লেগে যায় আরো কয়েক বছর। সর্বশেষ গত বছরের ২১ মার্চ সরকারি চাকুরি থেকে অবসরে যাওয়া মামলার অন্যতম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা দেওয়ান গোলাম সারওয়ার আদলাতে এসে সাক্ষ্য দেন।

 এরপর আরেক তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তৎকালীক তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাক্ষীর জন্য মামলায় আবারো ধীরগতি চলে আসে। আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন আদালত। কয়েক দফা মামলা পেছানোর পর আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন মিজানুর। এর পর আদালত যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ ধার্য্য করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলছে। আগামী রোববার আদালত যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ ধার্য্য করেছেন। স্বাভাবিক নিয়মে আদালত এবার রায়ের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করার কথা। তিনি জানান মামলায় আসামীদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। দুই পলাতক রয়েছেন। বাকিরা জামিনে আছেন।


এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ