ওসমানীনগরে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার!

সিলেটের ওসমানীনগরে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা মহিলার নাম তিশা বেগম বলে জানা গেছে।  এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এদের মধ্যে দুই পুরুষ ও এক নারী রয়েছেন।  তবে নিহতের নাম জানা গেলেও সম্পূর্ণ পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে আব্দুল বারিক, তার স্ত্রী জামালপুর জেলার ভাটি গজারিয়া এলাকার ওয়াহিদ আলীর মেয়ে নাসরিন বেগম পাখি, তার ভাগ্নে একই গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মাসুম মিয়া। এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর এস আই সাইফুল মোল্লা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (৭নভেম্বর) বিকেলে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক কানন দেব আসামীদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে আসামীরা আদালতকে জানায়, গত ৪ নভেম্বর ‘রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আব্দুল বারিকের শোয়ার ঘরে তিশার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে সেলিম মিয়া ও আব্দুল বারিক।  পরে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর রাতেই আব্দুর বারিকের স্ত্রী নাসরিন বেগম পাখি, তার ভাগ্নে মাসুম এবং আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি রিকশা চালকের সহায়তায় দয়ামীর বাজারের কনাইশা (রহ.) মাজারের পশ্চিমে খালি জায়গায় লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে।

আদালতের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, ৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তিশা বেগমকে নিয়ে আসামি সেলিম মিয়া দয়ামীরের খালপাড় গ্রামের আব্দুল বারিকের বাড়িতে যান। সেখানে তারা দুজন মদ পান করেন। একপর্যায়ে সেলিম মিয়া তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়েতে রাজি না হওয়া উভয়ের মধ্যে দ›েদ্ধর সৃষ্টি হয়।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আল মামুন জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিহত নারীর যে নাম পরিচয় দিয়েছিল তাতে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দয়ামীর বাজারের কনাইশা (রহ.) মাজারের পশ্চিমে একটি খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেয়া এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪ জন হত্যাকান্ডর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/রাজ্জাক