আজকের শিরোনাম :

ফুলবাড়ীতে টিআর প্রকল্পের সোলার আত্নসাত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৫১

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টিআর প্রকল্পের তালিকায় নাম থাকার পরও অর্ধশতাধিক পরিবারকে সোলার না দিয়ে আত্নসাত করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল রিনিউএ্যাবল এনার্জি লিমিটেড এর শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে।

তালিকাভুক্তরা দীর্ঘদিন ঘুরেও সোলার না পেয়ে আজ মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।  

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচির আওতায় সোলার প্রকল্পে (২য় পর্যায়) ২০১৭-২০১৮অর্থ বছরে ১৯,৭৬,০৩০/= টাকা ব্যয়ে উপজেলার ১০০টি পরিবার ও ০৬টি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের  মধ্যে সোলার বিতরনের তালিকা প্রেরণ করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তালিকাটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌছিলে দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির বাড়ীতে সোলার স্থাপনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল রিনিউএ্যাবল এনার্জি লিমিটেড এর ফুলবাড়ী শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদের নিকট প্রেরণ করা হয়।

তালিকা অনুযায়ী সোলার বিতরন ও অন্য কারো কাছে হস্তান্তর না করার নির্দেশনা থাকলেও শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদ অর্ধশতাধিক সোলার তালিকাভুক্তদের না দিয়ে আত্নসাত করেন। তালিকাভূক্ত সুবিধাভোগীরা সোলার নেয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গেলে তাদেরকে তালবাহনা করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোলার তালিকাভুক্ত উপজেলার নওদাবস গ্রামের লিপি খাতুন, বড়লই গ্রামের আব্দুর রশিদ, পানিমাছকুটি গ্রামের হেলেনা বেগম, একরামুল হক জানান,তালিকায় তাদের নাম থকালেও তারা এখন পর্যন্ত কোন সোলার পাননি। অফিসে গেলে তালিকায় তাদের নাম নেই বলে ম্যানেজার তাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বেঙ্গল রিনিউএ্যাবল এনার্জি লিমিটেড এর ফুলবাড়ী শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদ বলেন, তালিকা অনুযায়ী সোলার বিতরন করা হয়েছে। কেউ সোলার বিক্রি করে মিথ্যা অভিযোগ করতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/বিশ্বনাথ রায়/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ