সিলেটে অটোরিকশা চালক খুনের দায়ে আটক ৩
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০৭
সিলেট নগরীর ওসমানী মেডিকেল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নয়ন মিয়া ওরফে ময়না (৩৪) খুনের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নয়ন নগরের শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি কাজি জালালউদ্দিন এলাকার আইন উদ্দিনের ছেলে।
আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) সকালে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুল মনাফ, নগরের ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী হাবিব।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নয়নের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন নিহতের উরুতে কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিন্থ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়র আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানান নয়ন নিজের মালিকানা একটি সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন কি না, এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।
এর আগে গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে নগরের নবাব রোড মোড়ে ফুলকলির শো-রুমের সামনে খুনের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবাব রোড মোড়ে নয়ন নিজের অটোরিকশায় বসা ছিলেন। এসময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনাফ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী তাকে জোরপূর্বক অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তার উরুতে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। সাথে সাথে তিনি রাস্তায় লুঠিয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকদের মধ্যে হাবিবের দেয়া তথ্য মতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া অন্য দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা
আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) সকালে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুল মনাফ, নগরের ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী হাবিব।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নয়নের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন নিহতের উরুতে কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিন্থ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়র আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানান নয়ন নিজের মালিকানা একটি সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন কি না, এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।
এর আগে গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে নগরের নবাব রোড মোড়ে ফুলকলির শো-রুমের সামনে খুনের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবাব রোড মোড়ে নয়ন নিজের অটোরিকশায় বসা ছিলেন। এসময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনাফ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী তাকে জোরপূর্বক অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তার উরুতে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। সাথে সাথে তিনি রাস্তায় লুঠিয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকদের মধ্যে হাবিবের দেয়া তথ্য মতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া অন্য দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ